সহপাঠী নিহতের ঘটনায় দোষীদের শাস্তি ও নিরাপদ সড়কের দাবিতে বুধবার দেড় ঘন্টা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা। নগরীর ব্যাপ্টিস্ট মিশন বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র মাহামুদুল হাসান অহি নিহতের ঘটনায় বুধবার সকাল সাড়ে দশটা থেকে দুপুর বারোটা পর্যন্ত নগরীর আমতলার মোড়ে ঢাকা-বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের কারণে শুধু মহাসড়কটিই নয়, শহরের উত্তর ও পূর্বাঞ্চলের সাথে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে যান চলাচল বন্ধ হয়ে সাধারণ নাগরিকদের ভোগান্তির সৃষ্টি হয়। পরে প্রশাসনের আশ্বাসে শিক্ষার্থীরা সড়ক থেকে অবরোধ তুলে নিলে যানচলাচল স্বাভাবিক হয়। নিহত অহি নগরীর সাগরদী চান্দু মার্কেট এলাকার বাসিন্দা ও মালয়েশিয়া প্রবাসী মো. হাসানের ছেলে। সে নগরীর ব্যাপটিস্ট মিশন বালক বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র ও জেলা অনুর্ধ্ব-১৪ ক্রিকেট দলের খেলোয়ার ছিলো। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী স্কুল ছাত্র ফাহিম হোসেন বলে, মঙ্গলবার বিকেলে স্টেডিয়ামে ক্রিকেট চর্চা করে আমরা দুইজন যার যার বাইসাইকেল চালিয়ে বাসায় ফিরছিলাম। শেবাচিম হাসপাতালের সামনে পৌঁছামাত্র দ্রুতগতিতে সেনাবাহিনীর একটি গাড়ি এসে অহিকে বাইসাইকেলসহ চাঁপা দেয়। হাসপাতালের জরুরী বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত এক চিকিৎসক বলেন, মুমূর্ষবস্থায় আহত অহিকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন সেনা সদস্যরা। তাৎক্ষনিক জরুরী চিকিৎসার জন্য সার্জারি ওয়ার্ডে পাঠানো হয়। ওয়ার্ডে পৌঁছার আগেই অহি মৃত্যুবরন করেন। কোতয়ালী মডেল থানার ওসি মিজানুর রহমান বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় একজন নিহত হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ইসতিয়াক আহমেদ নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, বান্দরোড হচ্ছে শহরের মধ্যের একটি সড়ক। এ সড়কে যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রণে থাকার কথা থাকলেও তা থাকে না। আর এ কারণেই আমাদের সহপাঠীর গাড়ি চাঁপায় মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। চালকের অসাবধানতায় আর যেন কারও মৃত্যু না হয়, সেজন্য আমরা এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।