নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় সিনিয়র সাংবাদিক শাহাদাত হোসেনের জমি দখল করে সেখানে রাস্তা তৈরি করার অভিযোগ উঠেছে বিএনপি নেতা ও মিলন হত্যা মামলার প্রধান আসামি নিজাম উদ্দিন মানিকের বিরুদ্ধে। বিষয়টি ভুক্তভোগী সাংবাদিক উপজেলার এবং কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ কে লিখিতভাবে জানিয়েছেন। কিন্তু এখনো কোনো প্রতিকার পাওয়া যায়নি। এই ঘটনায় উপজেলায় বিভিন্ন মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে।
একাধিক সূত্রে জানা গেছে, গত ২৩ মার্চ স্কেভেটর দিয়ে উপজেলার চরকাঁকড়া ইউনিয়নের ২নম্বর ওয়ার্ডে ব্যক্তি মালিকানা ফসলি জমির মাটি কেটে রাস্তা তৈরি করে বিএনপি নেতা পরিচয় দানকারী নিজাম উদ্দিন মানিক। ওই জায়গাটি সাংবাদিক শাহাদাত হোসেনের। তবুও প্রভাব খাটিয়ে সেখানে রাস্তা তৈরি করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠে। মূলত,
সরকার পতনের পর চরকাঁকড়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বিএনপি নেতা পরিচয়ে নিজাম উদ্দিন মানিক চরকাঁকড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন অপকর্মের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। তিনি মিলন হত্যা মামলারাও আসামী। চরকাঁকড়া ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের ব্যাপারী স্কুল সংলগ্ন এলাকায় সিনিয়র সাংবাদিক জাতীয় দৈনিক আজকালের কন্ঠ পত্রিকার নোয়াখালী জেলা প্রতিনিধি শাহাদাত হোসেনের নিজস্ব জমিতে স্কেভেটর দিয়ে ফসলি জমির মাটি কেটে রাস্তা তৈরি করে। এরপর তা দখলের পাঁয়তারা শুরু করে সন্ত্রাসী নিজাম উদ্দিন মানিক এবং তার সাঙ্গপাঙ্গরা। এর আগে নোয়াখালী-৫ আসনের বিএনপির সাংগঠনিক দায়িত্ব পাওয়া নেতা বজলুল করিম চৌধুরী আবেদের আত্মীয় পরিচয় দিয়ে সন্ত্রাসী নিজাম উদ্দিন মানিক ওই এলাকায় সালিশ বাণিজ্য, জমি দখল এবং বিভিন্ন অপকর্মের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। এই মানিক পূর্বের রাজনৈতিক পরিচয় আওয়ামী লীগের থাকলেও সরকার পতনের পরপরই এক দিনের মধ্যে ভোল পাল্টে বিএনপির নেতা পরিচয় দিতে থাকেন। একই সঙ্গে আওয়ামী লীগের বির্তকিত নেতাদের পূর্নবাসন করারও অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-পল্লী উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক বজলুল করিম চৌধুরী আবেদ,
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক নুরুল আলম সিকদার, উপজেলা বিএনপি সদস্য সচিব মাহমুদুর রহমান রিপন, বসুরহাট পৌরসভার বিএনপি সভাপতি আব্দুল মতিন লিটন, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপি'র যুগ্ম সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলমকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন সাংবাদিক শাহাদাত হোসেন।
এই বিষয়ে উপজেলা বিএনপি নেতারা সাংবাদিকদের বলেন, যারা দলের নাম ভাঙ্গিয়ে অনিয়ম করবে, তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোন অপরাধীকে দলের মধ্যে জায়গা দেওয়া হবে না।