বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বকশীগঞ্জ উপজেলা শাখার আহবায়ক সুলতানুস ছালেহীন ও সদস্য সচিব জিসানুর রহমান জিসান পদত্যাগ করেছেন। ব্যাক্তিগত ও পারিবারিক কারন দেখিয়ে পদ ছেড়েছেন বলে ২৭ মার্চ বৃহস্পতিবার সকালে সাংবাদিকদের পদত্যাগের বিষয়টি নিশ্চিত করেন তারা। এর আগে ফেইসবুক আইডিতে পদত্যাগের বিষয়টি শেয়ারও করেন।
জানা যায়, ছাত্র জনতার জুলাই বিপ্লবে বকশীগঞ্জে নেতৃত্ব দিয়েছেন যারা তাদের মধ্যে সুলতানুস ছালেহীন ও জিসানুর রহমান জিসান অগ্রভাবে ছিলেন। গত ১২ ফেব্রুয়ারি সুলতানুস ছালেহীনকে আহবায়ক ও জিসানুর রহমান জিসানকে সদস্য সচিব করে ১৬১ সদস্য বিশিষ্ট বকশীগঞ্জ উপজেলার শাখার একটি আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অনুমোদন দেন জামালপুর জেলা কমিটির আহবায়ক মীর ইসহাক হাসান ইখলাস ও সদস্য সচিব আবদুল্লাহ আল আবিদ সৌরভ। দায়িত্ব পাওয়ার দেড় মাসের মধ্যে পদ ছাড়লেন কমিটির শীর্ষ এই দুই নেতা। তবে পদত্যাগ করলেও সংগঠনের সফলতা কামনা করেছেন দুজনেই।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জিসানুর রহমান জিসান বলেন,জুলাই বিপ্লবে সামনের সারিতে থেকে আন্দোলন করেছি। উপজেলার সদস্য সচিব হিসেবে সততার সাথে দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করেছি। এই সংগঠনের সাথে থাকতে পেরে আমি গর্ববোধ করি। তবে পারিবারিক ও ব্যাক্তিগত কারনে পদত্যাগ করেছি। যাঁরা আমার সঙ্গে ছিলেন,সহযোগিতা করেছেন সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ এবং সংগঠনের সফলতা কামনা করছি।
সুলতানুস ছালেহীন বলেন,ব্যাক্তিগত কারনেই দায়িত্ব ছেড়ে দিয়েছি। জুলাই আন্দোলনের পর বিভিন্ন নৈতিক দাবি নিয়ে কাজ করেছি। দেশের সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে রাজপথে থেকেছি। সংগঠনে জড়ানোর পর মনের ভুলে যদি কাওকে কষ্ট দিয়ে থাকি,ক্ষমা করে দিবেন। দেশের স্বার্থে রাজপথে এসেছিলাম ব্যক্তি স্বার্থে নয়। তাই আমি মনে করি এখন পরিবার এবং নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবার সময় হয়েছে। এছাড়া পদে থাকলে অসৎপথ অবলম্বন করার সম্ভাবনা থাকে। তাই আমার এই সিদ্ধান্ত নেওয়া। যারা পাশে ছিলেন তাদের সকলের প্রতি কৃতজ্ঞ আজীবন।
এ প্রসঙ্গে জানতে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন জামালপুর জেলা কমিটির আহবায়ক মীর ইসহাক হাসান ইখলাস বলেন,আহবায়ক সুলতানুস ছালেহীনের পদত্যাগের বিষয়টা অবগত আছি তবে সদস্য সচিব জিসানের বিষয়টি অবগত নই। পদত্যাগপত্র দিয়ে থাকলে তার বিষয়েও সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।