মিয়ানমারে গতকাল শুক্রবার এক ভয়াবহ শক্তিশালী ভূমিকম্প হানা দিয়েছে। এতে সেতু-ভবনসহ বেশ কয়েকটি স্থাপনার ধস হয়। ৭ দশমিক ৭ মাত্রার ভয়াবহ এ ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বেড়েই চলছে। ইতোমধ্যে নিহতে সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএসের এক মডেলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ইউএসজিএসের এ মডেল মৃতের সংখ্যা ১০ হাজারের বেশি হবে বলে আশঙ্কা করলেও এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৬৯৪ এবং আহত ১ হাজার ৬৭০ বলে জানিয়েছে মিয়ানমারের কর্তৃপক্ষ।
পেজার নামের এই স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থাপনা ভূমিকম্পে হতাহতের সংখ্যা ও অর্থনৈতিক ক্ষয়ক্ষতি সম্বন্ধে অনুমান করে। এই অনুমানের জন্য কম্পিউটার ভিত্তিক এই মডেল যেসব তথ্য-উপাত্তকে বিবেচনায় নেয় তার মধ্যে কম্পনের তীব্রতা এবং ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার জনসংখ্যাও আছে।
তবে পেজার ভূমিধস, ভূমিকম্পজনিত মাটির তরলীকরণ ও সুনামির মতো ভূমিকম্প পরবর্তী ক্ষয়ক্ষতিকে বিবেচনায় নেয় না, বলছে বিবিসি।
বিবিসির প্রতিবেদকরা জানিয়েছেন, ৭ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্পের পর মান্দালয়ে শনিবার সকাল পর্যন্ত একাধিক মৃদু কম্পন অনুভূত হয়েছে।
আতঙ্কে শহরটির অনেক বাসিন্দাই খোলা আকাশের নিচে রাত কাটিয়েছেন। মিয়ানমারের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মান্দালয়ে প্রায় ১৫ লাখ বাসিন্দার বাস।
শনিবার সকাল পর্যন্ত মিয়ানমারের বৃহত্তম দুই শহর ইয়াংগন ও মান্দালয়ে বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট সেবা ফেরেনি। বিদ্যুৎ না থাকায় রাতে উদ্ধারকাজেও বিঘ্ন ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।