ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) দিনের একমাত্র ম্যাচে রাজস্থান রয়্যালসে ৮ উইকেটে হারিয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। আগে ব্যাট করতে নেমে রাজস্থান তোলে ১৫১ রানের পুঁজি। ১৫ বল হাতে রেখে ৮ উইকেটের জয় তুলে নেয় কেকেআর। কলকাতার হয়ে ৬১ বলে ৯৭ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেছেন কুইন্টন ডি কক। গৌহাটির বর্ষাপাড়া ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে জিতে আগে রাজস্থানকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় কলকাতা। ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতে দেখেশুনে এগিয়েছেন রাজস্থানের দুই ওপেনার সাঞ্জু স্যামসন এবং যশস্বী জাইসওয়াল। ওপেনিং জুটি থেকে আসে ৩৩ রান। ১১ বলে ১৩ রান করে বিদায় নেন স্যামসন। এরপর তিনে নেমে জাইসওয়ালের সাথে যোগ দেন রিয়ান পরাগ। আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে এগিয়েছেন পরাগ এবং জাইসওয়াল। পাওয়ারপ্লের ৬ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ৫৪ রান তোলে রাজস্থান। পরাগ ভালো শুরু পেলেও ইনিংস লম্বা করতে পারেননি, থেমেছেন পাওয়ারপ্লে শেষেই। দলের ৬৭ রানের মাথায় ১৫ বলে ২৫ রানের ইনিংস খেলে বিদায় নেন পরাগ। পরের ওভারে ফিরেছেন জাইসওয়ালও। ২৪ বলে ২৯ রানের ইনিংস খেলে সাজঘরে ফিরে যান জাইসওয়াল। দুই সেট ব্যাটারকে হারিয়ে চাপে পড়ে যায় রাজস্থান। দ্রুত আরও ২ উইকেট হারিয়েছে তারা। আউট হন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা এবং নিতিশ রানা। পরে কিছুটা লড়াই চালিয়েছেন ধ্রুব জুরেল। তবে উইকেটের পতন ঠেকানো যাচ্ছিল না। ২৮ বলে ৩৩ রান করে দলের ১৩১ রানের মাথাতে আউট হয়েছেন জুরেল। বাকি ব্যাটাররা যোগ দিয়েছিলেন আসা-যাওয়ার মিছিলে। ধুঁকতে ধুঁকতে নির্ধারিত ২০ ওভারের খেলা শেষে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৫১ রানের পুঁজি দাঁড় করায় রাজস্থান। শেষ দিকে ৭ বলে ১৬ রানের ক্যামিও খেলেছেন জফরা আর্চার। কলকাতার হয়ে ২টি করে উইকেট শিকার করেন বরুণ চক্রবর্তী, মঈন আলী, হার্শিত রানা, বৈভব অরোরা। ১ উইকেট নিয়েছেন স্পেনসার জনসন। জবাব দিতে এদিন কেকেআরের হয়ে ওপেনিংয়ে নামেন কুইন্টন ডি কক এবং মঈন আলী। ওপেনিংয়ে নেমে সুবিধা করতে পারেননি মঈন। তবে ডি কক শুরু থেকেই ছিলেন আগ্রাসী। পাওয়ারপ্লের ৬ ওভারে বিনা উইকেটে ৪০ রান তোলে কলকাতা। ওপেনিং জুটিতে রান আসে ৪১। ১২ বলে ৫ রান করে বিদায় নেন মঈন। এরপর ডি ককের সাথে যোগ দেন অধিনায়ক আজিঙ্কা রাহানে। ধুমধাড়াক্কা ব্যাটিংয়ে এগিয়েছেন ডি কক। রাহানেও ভালোভাবে সঙ্গ দিয়েছেন। দলের ৭০ রানের মাথায় ১৫ বলে ১৮ রান করে বিদায় নেন রাহানে। ছুটতে থাকা ডি কক ছুঁয়ে ফেলেন ফিফটি। আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে দলের ইনিংসকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন কুইন্টন ডি কক। দলকেও নিয়ে যাচ্ছিলেন জয়ের খুবই কাছে। চারে নামা অঙ্ক্রিশ রঘুবংশীও ছিলেন দারুণ সাবলীল। দুজনের কার্যকরী ব্যাটিংয়ে জয়ের পথে ছিল কলকাতা। রঘুবংশী কিছুটা দেখে খেললেও মারমুখি ছিলেন ডি কক। ফিফটি ছুঁয়ে এগোতে থাকেন সেঞ্চুরির দিকে। একদম শেষ দিকে দলের জয় প্রায় নিশ্চিত হয়ে যায়। ডি কক ছিলেন সেঞ্চুরির অপেক্ষায়। শেষ দিকে কলকাতা ঠিকই জয় তুলে নিলেও সেঞ্চুরিটা ছুঁতে পারেননি ডি কক। ৬১ বলে ৯৭ রান করে অপরাজিত ছিলেন কেকেআরের ওপেনার। ছক্কা হাঁকিয়ে নিশ্চিত করেছেন দলের জয়। ১৫ বল এবং ৮ উইকেট হাতে রেখে দারুণ এক জয় তুলে নেয় কলকাতা নাইট রাইডার্স। রাজস্থানের হয়ে ১ উইকেট শিকার করেছেন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। এবারের আসরে প্রথম জয় পেল কলকাতা নাইট রাইডার্স।