সরিষাবাড়ীতে দুই শিশু ছাত্র বলৎকারের (ধর্ষণ) অভিযোগ, মাদ্রাসা ঘেরাও

এফএনএস (এসএম আব্দুল হালিম; জামালপুর) : : | প্রকাশ: ১৬ মার্চ, ২০২৫, ০২:৩১ পিএম
সরিষাবাড়ীতে দুই শিশু ছাত্র বলৎকারের (ধর্ষণ) অভিযোগ, মাদ্রাসা ঘেরাও

জামালপুরে সরিষাবাড়ী দুই ছাত্র বলৎকারের (ধর্ষণ) অভিযোগে জনতাকমাদ্রাসা ঘেরাও।।,অভিযুক্ত শিক্ষককে যৌথ বাহিনী গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠিয়েছে। ১৫ মার্চ (শনিবার) সন্ধ্যা রাতে বিক্ষুব্ধ জনতা সরিষাবাড়ী পৌরসভার আরামনগর কামিল মাদ্রাসা সংলগ্ন রাওদাতুল আতফাল নামে একটি মাদ্রাসার  ২ ঘন্টা ব্যাপী ঘেরাও করে রাখে। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর (যৌথ বাহিনী) সদস্যরা জনতার রোশানল থেকে রাত ১০টায় অভিযুক্ত শিক্ষক বজলুর রশিদকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসছেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানাযায় রাওদাতুল আতফাল মাদ্রাসার ১২/১৩বছর বয়সী দুই ছাত্র আবাসিকে থাকে। কয়েক দিন আগে পর্যায়ক্রমে ঐ দুই শিশু ছাত্রকে বজলুর রশিদ নামে এক শিক্ষক বলাৎকার (ধর্ষণ) করে। ধর্ষিত শিশু ছাত্র বাড়িতে গিয়ে মাদ্রাসায় আসতে না চাইলে অনেক জোরাজুরির পর ওই শিশু তার মাকে সবকিছু খুলে বলে। সে জানাই মাঝে মধ্যেই অভিযুক্ত শিক্ষক সে এবং তার অপর এক বন্ধুকে দীর্ঘদিন যাবৎ বলৎকার করে আসছিল। এ ঘটনায় ধর্ষিত শিশুর স্বজনেরা বিষয়টি স্থানীয় লোকজনকে জানায়।স্থানীয় লোকজন গত রাতে ওই মাদ্রাসার সামনে অবস্থান নেন। ধীরে ধীরে লোকজন বাড়তে থাকে। তাঁরা বিক্ষোভ করতে থাকেন। এতে মাদ্রাসায় ওই শিক্ষক অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে স্যৌথ বাহিনীর সদস্যরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন এবং ওই  শিক্ষককে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যান। স্থানীয় লোকজন জানান, ওই শিক্ষক প্রায় দুই থেকে তিন মাস ধরে দুই ছাত্র ধর্ষণ করে আসছিল। 

সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চাঁদ মিয়া গতকাল রাতে দুই ছাত্রকে ধর্ষণের অভিযোগে বিক্ষুব্ধ জনতা মাদ্রাসা ঘেরাও করেন। লোকজন শিক্ষকের বিচারের দাবিতে স্লোগানও দিচ্ছিলেন। কোনোভাবেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছিল না। ফলে অনেক কষ্টে বিক্ষুব্ধ লোকজনকে বুঝিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষককে আটক করে থানায় আনা হয়েছে। শিক্ষক ও ছাত্রদের পৃথকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।

রোববার ধর্ষিত শিশুর মা বাদী হয়ে শিক্ষক বজলুর রশিদকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন। খবর পেয়ে জামালপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ইয়াহিয়া আল মামুন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। 

ধর্ষনের শিকার ওই শিশুর মা জানান, আমার অবুঝ শিশুটার সঙ্গে শিক্ষক দীর্ঘদিন ধরে খারাপ কাজ করে আসছিল। আমি ওই শিক্ষকের উপযুক্ত বিচার চাই।  রবিবার সরিষাবাড়ী থানার পুলিশ শিক্ষককে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করেছেন।

এ বিষয়ে ১৬ মার্চ (রবিবার) বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন সরিষাবাড়ীর পক্ষ থেকে অভিযুক্ত শিক্ষক বজলুর রহমানের শাস্তির দাবীতে মানববন্ধন করা হয়েছে। মানববন্ধনের নেতৃত্ব দেন উপজেলা অসম বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব সাবের হোসেন বিপুল, রিফাত তাসিন ও সৌরভ প্রমুখ।

0 LIKE
0 LOVE
0 LOL
0 SAD
0 ANGRY
0 WOW
আপনার জেলার সংবাদ পড়তে