মধ্যবয়সী শিক্ষকের প্রতি এক কোমলমতী মেয়ের প্রথম প্রেমে পড়ার গল্প নিয়ে নির্মিত ‘ড্রিমস (সেক্স লাভ)’ ৭৫তম বার্লিন চলচ্চিত্র উৎসবের সর্বোচ্চ পুরস্কার স্বর্ণভালুক (গোল্ডেন বিয়ার) জিতেছে। ছবিটি পরিচালনা করেছেন নরওয়ের দগ ইয়োহান হাউগেরু। স্বর্ণভালুকের পাশাপাশি বার্লিনে মুক্ত পুরস্কার ফিপরেসি প্রাইজ ও জার্মান আর্টহাউস সিনেমাস গিল্ড প্রাইজ জিতেছে এই ছবি। ‘ড্রিমস (সেক্স লাভ)’ হলো মানুষের প্রেম, আবেগ, যৌনতা ও সামাজিক রীতিনীতির জটিলতা নিয়ে দগ ইয়োহান হাউগেরুর ট্রিলজির শেষ পর্ব। আগের দুই পর্বের মধ্যে ‘সেক্স’ ৭৪তম বার্লিন চলচ্চিত্র উৎসবের প্যানোরামা বিভাগে ও ‘লাভ’ ৮১তম ভেনিস আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের মূল প্রতিযোগিতা বিভাগে নির্বাচিত হয়। সমকামিতার আবহে নির্মিত ছবিটির গল্পে দেখা যায়, ইয়োহান্নার ক্রাশে পরিণত হয়েছেন তার ফরাসি নারী শিক্ষক। তার প্রতি ভালোবাসা থেকে মেয়েটি অন্তরঙ্গ অনেক কথা লিখতে থাকে। স্বাভাবিকভাবে এই ঘটনা তার পরিবারে উদ্বেগ সৃষ্টি করে। একইসঙ্গে তার মা ও দাদির মধ্যে নিজেদের অপূর্ণ স্বপ্ন ও আকাঙ্ক্ষাকে জাগিয়ে তোলে। চলচ্চিত্র পরিচালক পরিচয়ের পাশাপাশি দগ ইয়োহান হাউগেরু একজন সাহিত্যিক। স্বর্ণভালুক জয়ের পর তিনি উল্লেখ করেন, এই পুরস্কারপ্রাপ্তির কথা স্বপ্নেও ভাবেননি! দর্শকদের লিখতে ও বেশি পড়তে উৎসাহ জুগিয়েছেন ৬০ বছর বয়সী এই নির্মাতা। দগ ইয়োহান হাউগেরুর ট্রিলজির বিষয়বস্তু ও ১৯৯৩-১৯৯৪ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ক্রিস্তফ কিসলোস্কির থ্রি কালারস ট্রিলজির প্রসঙ্গ একই। তবে দৃষ্টিভঙ্গি আলাদা। ‘রেড’, ‘হোয়াইট’ ও ‘ব্লু’র অনুপ্রেরণায় নিজের ট্রিলজি নির্মাণের কথা এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন দগ ইয়োহান হাউগেরু। উৎসবে বিচারকদের প্রধান (জুরি সভাপতি) ছিলেন আমেরিকান পরিচালক টড হেইন্স। তিনি বলেন, ‘ছবিটিতে অনবদ্য অভিনয়ের সঙ্গে মানুষের আকাঙ্ক্ষা প্রসঙ্গে স্পষ্ট পর্যবেক্ষণ যেভাবে চিত্রনাট্যে ফুটে উঠেছে সেটি প্রশংসার দাবি রাখে। আকাঙ্ক্ষা প্রকাশের আকস্মিক ও আশ্চর্যজনক মুহূর্তগুলো মুগ্ধ করার মতো।’ ‘ড্রিমস (সেক্স লাভ)’ ছবিতে অল্পবয়সী মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছেন এলা অভারবি। তার ক্রাশ ফরাসি শিক্ষকের ভূমিকায় আছেন সেলোমে এমনেতু। এছাড়া অন্যান্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন আনে দাল তইর্প, আন্নে মারিত ইয়াকবসেন, আন্দ্রিনা সেতের। ছবিটির দৈর্ঘ্য ১ ঘণ্টা ৫০ মিনিট। প্রযোজনায় হেগে হফ ভাতুম ও ইংভা সয়থার