সকল সংশয় কাটিয়ে অবশেষে বেতন ও বোনাসের টাকা তুলতে পেরেছেন এমপিওভুক্ত স্কুল-কলেজের সাড়ে তিন লাখেরও বেশি শিক্ষক-কর্মচারী।
শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী, জনতা, অগ্রণী ও রূপালী ব্যাংক থেকে ফেব্রুয়ারি মাসের বেতন ও ঈদের উৎসবভাতার টাকা তুলেছেন শিক্ষক-কর্মচারীরা। তবে বেতন-বোনাসের টাকা তুলতে তারা মাত্র দুই ঘণ্টা সময় পেয়েছেন।
বিশেষ ব্যবস্থায় ঈদের আগে অধিকাংশ শিক্ষক-কর্মচারীর বেতন-ভাতা দেওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন বেতন প্রত্যাশিরা।
শিক্ষক-কর্মচারীরা বলছেন, ঈদের দুইদিন আগে ফেব্রুয়ারি মাসের বেতন দেওয়া হয়েছে। মার্চের বেতন কবে পাবেন তার নিশ্চয়তা নেই। শিক্ষক-কর্মচারীদের ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফারের (ইএফটি) মাধ্যমে বেতন-ভাতা দিতে ভোগান্তি তৈরি হয়েছে।
নিয়মিত বেতন পরিশোধে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরকে (মাউশি) যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা। একই সঙ্গে ঈদের পর ১০ এপ্রিলের মধ্যে মার্চ মাসের বেতন দেওয়ার দাবিও জানিয়েছেন প্রায় চার লাখ শিক্ষক-কর্মচারী।
প্রসঙ্গত, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ইএফটির মাধ্যমে বেতন-ভাতা পান। তবে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা সরকারি কোষাগার থেকে ছাড় হলেও তা রাষ্ট্রায়ত্ত আট ব্যাংকের মাধ্যমে ‘অ্যানালগ’ পদ্ধতিতে ছাড় হতো। এ অর্থ তুলতে শিক্ষকদের নানা ভোগান্তিতে পড়তে হতো। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ৫ অক্টোবর বিশ্ব শিক্ষক দিবসে ইএফটিতে বেসরকারি শিক্ষকদের এমপিওর বেতন-ভাতা দেওয়ার ঘোষণা দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। প্রাথমিকভাবে বেসরকারি এমপিওভুক্ত স্কুল-কলেজের ২০৯ জন শিক্ষক-কর্মচারীর অক্টোবর মাসের এমপিও ইএফটিতে ছাড় হয়। গত ১ জানুয়ারি এক লাখ ৮৯ হাজার শিক্ষক ইএফটির মাধ্যমে বেতন-ভাতার সরকারি অংশের টাকা পেয়েছেন।