দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলায় ৬টি ইউনিয়নে চলছে আমন ধান কাটা ও মাড়াই। কৃষকেরা সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আমন ধানের মাঠে কামলা নিয়ে ধান কাটছেন। কেউ বা ট্রাক্টর ও ভ্যানে করে জমি থেকে ধান আনছেন বাড়ীতে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে এলাকার বিভিন্ন মাঠে দেখা গেছে কৃষকেরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। কাহারোল কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি আমন মৌসুমে উপজেলায় ১৫ হাজার ৫ শত হেক্টর জমিতে আমন চাষ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে আগাম জাতের ব্রিধান-৫১, ব্রিধান-৭৫, ব্রিধান-১৭, গুটি স্বর্ণ ও সুমন স্বর্ণ ধান কাটা শেষ হয়েছে। ব্রিধান-৩৪ ধান কাটা মাড়া শুরু হয়েছে ২-৩ দিন পূর্বেই দিকে। আগামী সপ্তাহে পুরাদমে ব্রিধান-৩৪ কাটা শুরু হবে বলে চাষীরা জানান। বর্তমানে সোনালী ধানে ভরে গেছে মাঠের পর মাঠ। বাতাসে দুলছে কৃষকের স্বপ্ন। ভালো ফলনের আশা করছেন কৃষক। কিন্তুু দাম নিয়ে সংখ্যায় রয়েছেন। উপজেলার ঈশানপুর গ্রামের কৃষক মোঃ শামসুল আলম জানান, তিনি এবার ১২ বিঘা জমিতে ব্রিধান-৩৪ আবাদ করেছেন। বর্তমানে ধানের অবস্থা ভালো রয়েছে। আগামী সপ্তাহে ধান কাটা হবে। এবার প্রথম থেকে বৃষ্টি কম থাকার কারণে সেচ দিয়ে আমন ধান লাগানো হয়েছে। এতে করে এবার আমন উৎপাদনের খরচ কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে বাজারে গত বছরের তুলনায় এবার প্রতি মণ ধান ৬০০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ব্রিধান-৩৪। একই এলাকার কৃষক মান্নান বলেন, এবার আমন ধানে প্রথম থেকে খরচ বেশি হয়েছে । গতবছর কামলা ছিল ৪০০ টাকা বতমানে কামলা ৭০০ টাকা। প্রতিটি জিনিসের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় উৎপাদন খরচ অনেকটাই বেড়ে গেছে এবার। গতকাল বৃহস্পতিবার ব্রিধান-৩৪ ধান বিক্রি হয়েছে প্রতি মণ ২১শত টাকা। কাহারোল উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মল্লিকা রানী সেহানবীশ জানান, সকল প্রতিকূল পেরিয়ে এবার উপজেলায় আমন উৎপাদন ভালো হয়েছে। যেসকল ধান এখন কাটা হয় নাই, সেই গুলোই বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। ভালো ফলন হওয়ায় দাম নিয়ে সঙ্খার কারণ নেই। আগামীতে ধানের দাম বৃদ্ধির সম্ভবনা রয়েছে। কৃষিবিভাগ কৃষকদের ধান চাষের সকল প্রকার সহযোগিতা করেছেন এবং পরামর্শ দিয়েছেন চাষীদের।