গজারিয়ায় আ’লীগ দলীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে প্রতিহতের ঘোষণা ছাত্র জনতার

এফএনএস (মোঃ আমিরুল ইসলাম নয়ন; গজারিয়া, মুন্সীগঞ্জ) : | প্রকাশ: ১৬ জুলাই, ২০২৫, ০৬:২৭ পিএম
গজারিয়ায় আ’লীগ দলীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে প্রতিহতের ঘোষণা ছাত্র জনতার

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় আওয়ামী লীগ দলীয় এক ইউপি চেয়ারম্যানকে দায়িত্ব পালন থেকে বিরত রাখতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে ছাত্র-জনতা।

এসময় তারা উচ্চ আদালতে রায়ে বাউশিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে দায়িত্ব পালনের সুযোগ পাওয়া মিজানুর রহমান প্রধানকে প্রতিহতের ঘোষণা দেন।

খবর নিয়ে জানা যায়, বুধবার (১৬ জুলাই) সকাল ১১টায় মধ্য বাউশিয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করে ছাত্র-জনতা। কর্মসূচিতে একাত্মতা পোষণ করে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় বিএনপি নেতা-কর্মীরা।

পরে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক নজরুল মেম্বার, আশরাফুল ইসলাম সবুজ, উপজেলা শ্রমিক দল নেতা আব্দুল মান্নান মিয়াজী, ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির হোসেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা জহিরুল ইসলাম প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান প্রধান স্বেচ্ছাসেবক লীগ গজারিয়া উপজেলা শাখার সহ-সভাপতি পদে ছিলেন। গত বছরের ৪ আগস্ট পর্যন্ত বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনকারীদের প্রতিহত করতে মাঠে ছিলেন তিনি। চেয়ারম্যান পদে তার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও বারংবার উচ্চ আদালতে রিট করে, আইনের বিভিন্ন ফাঁক ফোকর কাজে লাগিয়ে কাজে লাগিয়ে চেয়ারম্যান পদে বহাল ছিলেন তিনি। বৈষম্য বিরোধী ছাত্রআন্দোলন চলাকালীন সময়ে তার নেতৃত্বে একাধিকবার গজারিয়ার বিভিন্ন স্থানে ছাত্র জনতার উপর হামলা হয়। ৫ আগস্টের পর বাধ্য হয়ে আত্মগোপনে চলে যান তিনি। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দায়িত্ব হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয় ১নং প্যানেল চেয়ারম্যান মো.এবাদুল হককে। তবে সম্প্রতি উচ্চ আদালতের এক আদেশে চেয়ারম্যান পদে দায়িত্ব পালনের সুযোগ পান মিজানুর রহমান প্রধান। স্থানীয় কিছু লোকদের ম্যানেজ করে তিনি আবার পরিষদে বসতে চাচ্ছেন তবে ছাত্র জনতা তা মেনে নিবে না। তাকে জনগণকে সাথে নিয়ে প্রতিহত করার ঘোষণা দেন তারা।


বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা জহিরুল ইসলাম বলেন, ' বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গজারিয়া একাধিক স্থানে ছাত্রদের উপর চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান প্রধান হামলা চালায়। তার ছবি এবং ভিডিও চিত্র এখনো সবার মোবাইলে মোবাইলে রয়েছে। এরকম একজন মানুষ কারাগারে না থেকে কিভাবে এখনো পর্যন্ত বাইরে ঘোরাফেরা করছে? অনতিবিলম্বে তাকে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি আমি'।

এ বিষয়ে বাউশিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সচিব সুমন মিয়া জানান, এক আদেশে ১নং প্যানেল চেয়ারম্যান এবাদুল হককে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেয় প্রশাসন। তবে উচ্চ আদালতে রিট করে এই আদেশের উপর তিন মাসের একটি স্থগিতাদেশ আনেন সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান প্রধান। তবে তার মেয়াদ ১৫ জুলাই শেষ হয়ে গেছে। এর মধ্যে তিনি একদিন দাপ্তরিক কাজকর্ম করেছেন। এখন একটি সাংগঠনিক শূন্যতার সৃষ্টি হয়েছে। প্রশাসন থেকে যে নির্দেশনা দেওয়া হবে আমরা সেভাবে দায়িত্ব পালন করবো।

বিষয়টি সম্পর্কে গজারিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আশরাফুল আলম বলেন, ' স্থগিতাদেশের মেয়াদ শেষ হওয়ায় সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এবাদুল হক দায়িত্ব ফিরে পেতে আমার কাছে একটা লিখিত আবেদন করেছেন। বিষয়টি আমি আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি'।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে