ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কের পুঠিয়া উপজেলার ২৮ কিলোমিটার সড়কের প্রতিনিয়ত শত শত অবৈধ যানবাহন চলাচল করায় প্রতিদিন সড়ক দুঘর্টনা ঘটছে। দেখা গেছে, জেলা ট্রাফিক পুলিশ বানেশ্বর হাটের বাঘা-চারঘাট সড়কের চৌরাস্তা মোড় এবং উপজেলার সদরের মসজিদ মোড়ে দাড়িয়ে থাকেন কিন্তু কোনো প্রকার দায়িত্ব পালন করেন না। এতে করে মহাসড়কে প্রতিনিয়ত যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কের গাঁওপাড়া ঢালান হতে কামার ধাধাস পর্যন্ত ২৮ কিলোমিটার মহাসড়ক উপজেলার আওতায় রয়েছে। সড়কে বেশীরভাগ দুর্ঘটনা ঘটেছে অবৈধ যানবাহন ইটভাটার মাটিবাহী ট্যাকক্টর, ট্রলি, হিউম্যান হলার,নসিমন-করিমন,ব্যাটারী চালিত অটো ও রিক্্রা-ভ্যানের কারণে। সড়কে প্রতিনিয়ত নম্বরবিহীন অধশতাধিক ১০ চাকার ড্রামট্রাক চলতে দেখা যায়। বেশি ওজনের কারণে মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। বানেশ্বর বাজারের শরিফ হোসেন বলেন, মাঝেমধ্যে ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট সড়কের ফাঁকা স্থানে দাড়িয়ে যানবাহনের কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করার নামে যানবহনের সঙ্গে টাকার চুক্তি করতে দেখা যায়। আর যেসব গাড়িগুলোর সঙ্গে তাদের চুক্তি হয়নি তাদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়। আবুল কাশেম নামের ট্রাক ড্রাইভার জানায়,জেলা ট্রাফিক পুলিশ সড়কে চলাচলকারী প্রায় যানবাহনের সঙ্গে মাশোহারা চুক্তি করে রেখেছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছু ট্রাফিক পুলিশের একজন সোর্স জানায়,বর্তমানে ট্রাফিকের শুধুমাত্র বৈধ যানবহনকারীদের সঙ্গে চুক্তি রয়েছে। আর কোনো অবৈধ যানবহনের সঙ্গে তাদের চুক্তি নেই।
এ ব্যাপারে বানেশ্বর ট্রাফিক পুলিশের টি আই আশরাফুজ্জামান বলেন,আমাদের সঙ্গে কোনো যানবহনের মাশোহারা চুক্তি নেই। আমরা প্রতিনিয়ত অবৈধ যানবাহনের বিরুদ্ধে মামলা করে আসছি।