বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে রংপুরে পুলিশের করা শিক্ষার্থীদের নামে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে তুলে নিতে শিক্ষার্থীদের কাছে আবেদন চেয়েছে জেলা প্রশাসন। শনিবার (৩০ নভেম্বর) দুপুরে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্্ূযত্থানে আহত ও শহিদদের স্মরণে অনুষ্ঠিত এক স্মরণ সভায় ভুক্তভোগীদের আবেদন করার কথা জানান জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রবিউল ফয়সাল। তিনি বলেন, আন্দোলন চলাকালীন মামলাগুলো যাচাই-বাছাই করতে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে বলা হয়েছে যাদের বিরুদ্ধে হয়রানি মূলক মামলা রয়েছে তাদেরকে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে আবেদন করতে হবে। এ সময়ের মধ্যে এই কমিটির কাছে মামলা প্রত্যাহারের জন্য আবেদন করতে হবে। এরপরে কমিটিতে থাকা পিপির তার মতামত নিয়ে আমরা মামলা প্রত্যাহার করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে পাঠিয়ে দেব। তিনি বলেন, আমাদের নৈতকতার অবক্ষয় হয়েছে। সে বিষয়গুলোকে চিহ্নিত করে ঠিক করার চেষ্টা চলছে। এরই মধ্যে পুলিশ সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়েছে। কমিটি চিন্তা করছে কিভাবে পুলিশ বিভাগকে সংস্কার করা যায়। দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কারের জন্য রংপুরে গতকাল একটি দল এসেছে। তারাও কাজ করছেন যাতে সুন্দর বাংলাদেশ গড়তে পারি। স্মরণ সভায় বক্তব্য রাখেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ আব্দুল মান্নান, আবু সাইদ, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রট হাবিবুল হাসান রুমি, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন মহানগরের সদস্য সচিব রহমত আলী, মুখপাত্র নাহিদ হাসান খন্দকার, শহীদ পরিবারের সদস্য জিতু বেগম, আহত সাগর মিয়াসহ অন্যরা। স্মরণ সভায় জুলাই-আগস্টে শিক্ষার্থীদের উপর পুলিশ, ছাত্রলীগ-আওয়ামী লীগের হামলা, মামলা, নির্যাতন তুলে ধরা হয়। এ সময় গণঅভূত্থানের চেতনা বাস্তবায়নে সকলকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানানো হয়।