কচুয়ার নন্দনপুর - আলীয়ারা সড়ক খানাখন্দে ভরা, প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা

এফএনএস (মিজানুর রহমান; চাঁদপুর) : : | প্রকাশ: ২০ মার্চ, ২০২৫, ০২:২৭ পিএম
কচুয়ার নন্দনপুর - আলীয়ারা সড়ক খানাখন্দে ভরা, প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা

দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার সহদেবপুর পশ্চিম ইউনিয়নের নন্দনপুর টু আলীয়ারা সড়কটি বেহাল অবস্থায় পড়ে আছে। সাড়ে তিন কিলোমিটার সড়কের বেশির ভাগ জায়গায় পিচঢালাই উঠে গেছে। তৈরি হয়েছে ছোট-বড় খানাখন্দ। সড়কটি দিয়ে অটোরিকশা, ইজিবাইক, ভ্যান, সিএনজি, ট্রাকসহ প্রতিদিন চলাচল করে দুই উপজেলার কয়েক হাজার মানুষ। এ ছাড়া, মতলব নদী পথের মোকাম থেকে আসা কৃষি ,খাদ্যপণ্য ও নির্মাণ সামগ্রী পরিবহন করা হয় সড়কটি দিয়ে। বেহাল এ সড়কে চলাচলে প্রতিনিয়ত চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন স্থানীয়রা।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন ২টি কলেজ, ৩টি উচ্চ বিদ্যালয়সহ ৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যাতায়াত করে। পাশাপাশি বিতারা ও সহদেবপুর ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষ নিয়মিত চলাচল করে।

এছাড়া,নারায়নপুর ও নায়ের গাঁ থেকে বালু ও ইট ব্যবসায়ীদের বালু-ইট পরিবহনে সড়কটি বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা।সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, নন্দনপুর টু আলীয়ারা সড়কের সাড়ে তিন কিলোমিটারে বিভিন্ন জায়গায় পিচঢালাই উঠে খোয়া ও পাথর বের হয়ে গেছে। কিছু জায়গায় সম্পূর্ণ পিচ ও খোয়া উঠে মাটি বের হয়ে গেছে। সড়কজুড়ে তৈরি হয়েছে অসংখ্য খানাখন্দ। বৃষ্টি হলেই খানাখন্দে পানি জমাসহ কাদার তৈরি হয়। ঝুঁঁকি নিয়ে চলাচল করে রিকশা, ভ্যান, ইজিবাইক, ট্রাক, সিএনজিসহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহন। মাঝে মাঝেই অটোরিকশা, ইজিবাইক উল্টে ঘটে দুর্ঘটনা। নন্দনপুর ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রিয়াদ বলেন, নন্দনপুর টু আলীয়ারা সড়কটি পুরো ভাঙ্গা যার ফলে স্কুলে আসতে সমস্যা হয়। প্রায়ই গাড়ি উল্টে পড়ে আমরা আহত হই।

সাইফুল নামের এক রিকশাচালক বলেন, দীর্ঘদিন রাস্তাটি সংস্কার না হওয়ায় এবং ইট ও বালির গাড়ি চলাচলের কারণে রাস্তাটির বেহাল দশা। যাতায়াতে তিনগুণ বেশি সময় লাগে। হেলে দুলে চলে যানবাহন। মাঝে মাঝে ইজিবাইক ও অটোরিকশা উল্টে যায়। ৮ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মনির হোসেন বলেন, বর্তমানে রাস্তাটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। প্রতিদিন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরাসহ কয়েক হাজার মানুষ এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করে। প্রতিনিয়ত রিকশা উল্টে পড়ে ছাত্র-ছাত্রীর আহত হওয়ার খবর পাই।গর্ভবতী কোনো নারীকে হাসপাতালে নিতে হলে অ্যাম্বুলেন্স ছাড়া নেয়া সম্ভব না। আমরা চাই রাস্তাটি দ্রুত মেরামত করা হোক। আলীয়ারা গ্রামের বৃদ্ধা তোতা মিয়া  বলেন, রাস্তা খুব খারাপ, চলাচল করতে পারি না। ঝাঁকিতে শরীর ব্যথা হয়ে যায়। 

৫ নং সহদেবপুর পশ্চিম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আলমগীর হোসেন বলেন,এ সড়কটি দুই উপজেলার মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করেছে। এছাড়াও সহদেবপুর পশ্চিম ও বিতারা ইউনিয়নের লোকজনের জন্য সড়কটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। খানাখন্দে পরিপূর্ণ হওয়ায় যাতায়াতে খুবই কষ্ট এবং যানবাহনগুলো ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করে। জনস্বার্থে দ্রুত রাস্তাটি সংস্কার করা প্রয়োজন। এ বিষয়ে কচুয়া উপজেলা প্রকৌশলী মো. আব্দুল আলীম লিটন বলেন, পালাখাল টু আলীয়ারা সড়কের পালাখাল থেকে খিলমেহর পর্যন্ত ৪ কি:মি: রাস্তার সংস্কারের কাজ চলমান।চলতি অর্থবছরে বাকি সড়কটি সংস্কারের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হবে। দ্রুতই রাস্তাটি সংস্কার করা হবে।

0 LIKE
0 LOVE
0 LOL
0 SAD
0 ANGRY
0 WOW
আপনার জেলার সংবাদ পড়তে