কলেজ গভর্নিং বডির কমিটি গঠণ নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পরেছে। কলেজের কয়েকজন শিক্ষার্থীদের দিয়ে একপক্ষ ইতোমধ্যে আরেকপক্ষের বিরুদ্ধে মিছিল করিয়েছেন। অপরপক্ষ আইনী ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি নিয়েছেন। ঘটনাটি জেলার গৌরনদী উপজেলার মাহিলাড়া ডিগ্রি কলেজের।
শনিবার দুপুরে উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি, মাহিলাড়া ডিগ্রি কলেজের সাবেক প্রভাষক ও কলেজ গভর্নিং বডির সাবেক সদস্য এবং নবগঠিত গভর্নিং বডির শিক্ষানুরাগী সদস্য এসএম জাফর ইকবাল অভিযোগ করে বলেন, ব্যক্তিগত আক্রোশের জন্য আমাদের নিজ দলের কতিপয় ব্যক্তি আমার বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার শুরু করেছেন। তারই ধারাবাহিকতায় কলেজে অধ্যায়নরত ওইসব ব্যক্তির সন্তানসহ তাদের কয়েকজন সহপাঠিদের দিয়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ মিছিল করিয়েছেন। পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যে অপপ্রচার করা হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অতিসম্প্রতি ওই কলেজের গভর্নিং বডি গঠণ প্রক্রিয়া শুরুর পর সভাপতি পদে প্রতিযোগিতায় নামেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ও কৃষকদলের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকির হোসেন। একইপদে প্রতিযোগিতায় নামেন একই কলেজের প্রতিষ্ঠাকালীন অধ্যক্ষ ও ব্র্যাকের সাবেক কর্মকর্তা মো. লুৎফর রহমান। কলেজ গভর্নিং বডির সাবেক সদস্য, কলেজের শিক্ষক, অভিভাবক ও স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে অধিকাংশই লুৎফর রহমানের পক্ষ নিয়ে মাঠে নামেন। তাকে (লুৎফর রহমান) সমর্থন করেন এসএম জাফর ইকবাল। গত ৩ এপ্রিল ওই কলেজের গভর্নিং বডি গঠণ সভায় উপস্থিত সদস্যদের কণ্ঠ ভোটে লুৎফর রহমান কলেজ গভর্নিং বডির সভাপতি নির্বাচিত হন।
নবগঠিত কমিটির শিক্ষানুরাগী সদস্য জাফর ইকবাল বলেন, এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হন কৃষক দলের কেন্দ্রীয় নেতা এসএম জাকির হোসেন ও মাহিলাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সদস্য এবং নবগঠিত কলেজ গভর্নিং বডির অভিভাবক সদস্য সবুজ শিকদার।
মহিলাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সদস্য ও কলেজ গভর্নিং বডির অভিভাবক সদস্য সবুজ শিকদার বলেন, একসময় জাফর ইকবালকে আমি সবচাইতে বেশি সেল্টার দিয়েছি। প্রতিদানের সে আমার ক্ষতি ছাড়া উপকার করেনি। কলেজ গভর্নিং বডি গঠনে সে আমাদের বন্ধু জাকিরের বিরোধিতা করেছে। অতএব কলেজ গভর্নিং বডির সদস্য পদে সে (জাফর) যাতে থাকতে না পারে সেজন্য যা যা করা প্রয়োজন আমি তা করবো।