কুমিল্লার চান্দিনায় নারী এনজিও কর্মীকে যৌন নির্যাতনের রেশ কাটতে না কাটতে এবার চাচার বিরুদ্ধে ১১ বছরের আপন ভাতিজিকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। টাকার লোভ দেখিয়ে মাদ্রাসা পড়ুয়া ভাতিজিকে এক বছর যাবৎ ধর্ষণ করে চলছে আপন চাচা আবু সাঈদ (২১)। এ ঘটনায় চান্দিনা থানায় মামলা দায়ের করেছে ভূক্তভোগীর মা। বুধবার (১৯ মার্চ) চাচা আবু সাঈদকে একমাত্র আসামী করে মামলাটি করেন ভূক্তভোগীর মা ও ধর্ষকের আপন ভাবী। ঘটনাটি ঘটেছে কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার গল্লাই ইউনিয়নের দারোরা গ্রামে। জানা যায়, ওই গ্রামের টাকাতোলার পাড় এলাকার আবু সাঈদ তিন ভাইয়ের পরিবারের সাথেই থাকেন। বড় দুই ভাই বিদেশে থাকায় বাড়িতে একমাত্র পুরুষ আবু সাঈদ। বড় ভাইয়ের মাদ্রাসা পড়ুয়া মেয়েকে আদরের অযুহাতে বিভিন্ন সময় স্পর্শকাতর স্থানে স্পর্শ করতো আবু সাঈদ। এক সময় টাকার লোভ দেখিয়ে তার সাথে যৌনতা শুরু করে। সর্ব শেষে গত ফেব্রুয়ারী মাসে দিন দুপুরে ঘরের দরজা বন্ধ করে আপন ভাতিজির সাথে যৌনতা করার সময় বড় দুই ভাবীর হাতে ধরা পড়েন আবু সাঈদ। বিষয়টি পারিবারিক ভাবে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করে পরিবারের সদস্যরা।
মামলার বাদী জানান, আবু সাঈদ মাদ্রাসায় লেখাপাড়া করেছে। আমার শিশু মেয়েকে এক বছর যাবৎ এমন নির্যাতন করে চলছে। আমি পারিবারিক ভাবে নয়, আইনের মাধ্যমে এর বিচার চাই।
এ ব্যাপারে চান্দিনা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শাহিনুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামী পলাতক আছে। গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (এস.আই) আব্দুল লতিফ জানান, প্রাথমিক তদন্তে ধর্ষণের বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছি। আমাদের কার্যক্রম অব্যাহত আছে।
চলতি সপ্তাহের সোমবার সন্ধ্যার পর থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত চান্দিনা পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ড তুলাতলী এলাকায় একটি এনজিও’র পুরুষ কর্মীকে গাছের সাথে বেঁধে নারী কর্মীকে যৌন নির্যাতন করে এবং মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করে অর্থ আদায়ের ঘটনা ঘটেছে। ওই ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। মাত্র ৩দিনের ব্যবধানে আবারও শিশু ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে।