আগামী জুন-জুলাইয়ে অনুষ্ঠিত হবে ক্লাব বিশ্বকাপের ২১তম আসর। এর আসরে বিশ্বের ৬টি ফেডারেশনের মোট ৩২টি ক্লাব অংশ নেবে। এর টুর্নামেন্টের মোট প্রাইজ মানি আগেই ঘোষণা করেছে ফিফা। তবে সুনির্দিষ্ট করে জানানো হয়নি চ্যাম্পিয়ন দলের প্রাইজ মানির পরিমাণ। অবশেষে টুর্নামেন্টের সেরা দলের প্রাইজ মানিও জানিয়ে দিয়েছে ফুটবল নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে হতে যাওয়া এ বিশ্বকাপে বিজয়ী দল সর্বোচ্চ ১২৫ মিলিয়ন ডলারের অর্থ পুরস্কার পাবে। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ ১ হাজার ৫২২ কোটি টাকা প্রায়। গত বুধবার এ ঘোষণা দিয়েছে ফিফা। ফিফা আগেই ঘোষণা করেছিল, ১৪ থেকে ১৩ জুলাই পর্যন্ত চলা এই টুর্নামেন্টের জন্য মোট প্রাইজ মানি ১ বিলিয়ন ডলার। এক বিবৃতিতে ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো বলেন, ‘ফিফা এই টুর্নামেন্ট থেকে কোনো অর্থ জমা করবে না। সমস্ত রাজস্ব ক্লাব ফুটবলের জন্য বিতরণ করা হবে। একইসঙ্গে ফিফার সংরক্ষিত তহবিলেও হাত দেওয়া হবে না, যা ২১১টি ফিফা সদস্য সংস্থার মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী ফুটবল উন্নয়নের জন্য নির্ধারিত ছিল।’ ১ বিলিয়ন ডলারের প্রায় অর্ধেক ৩২টি ক্লাবের মধ্যে ভাগ করা হবে, যেখানে প্রতিটি ক্লাবের পরিমাণ নির্ধারিত হবে তাদের ক্রীড়া ও বাণিজ্যিক মানদণ্ডের উপর ভিত্তি করে। এর ফলে ম্যানচেস্টার সিটি ও রিয়াল মাদ্রিদের মতো বড় ক্লাবগুলো তুলনামূলকভাবে বেশি অর্থ পাবে। ফিফা ইউরোপীয় ক্লাব অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে যৌথভাবে এটি নির্ধারণ করেছে। ৪৭৫ মিলিয়ন ডলার দেওয়া হবে পারফরম্যান্স-ভিত্তিক পুরস্কার হিসেবে। যার ফলে সর্বাধিক জয়ী দল সাতটি সম্ভাব্য ম্যাচ জিতে সর্বোচ্চ ১২৫ মিলিয়ন ডলার পর্যন্ত অর্থ পেতে পারে। এদিকে বিভিন্ন খেলোয়াড় ও কোচ নতুনভাবে পুনর্গঠিত ক্লাব বিশ্বকাপ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। কারণ এটি ফুটবলারদের বিশ্রামের সময় কমিয়ে দেবে। উদ্বেগ জানানোর ফুটবলারদের মধ্যে ইংল্যান্ড অধিনায়ক হ্যারি কেনও রয়েছেন। এ বিষয়ে হ্যারি কেন বলেন, ‘অবশ্যই, এটি আরেকটি গ্রীষ্ম, যেখানে আপনি প্রকৃতপক্ষে বিশ্রাম নিতে পারবেন না। আমরা এতে অভ্যস্ত হয়ে যাচ্ছি। আমাদের আসলে এ বিষয়ে কিছু করার নেই।’ তবে বায়ার্ন মিউনিখের এই স্ট্রাইকার টুর্নামেন্ট নিয়ে উচ্চাশাও প্রকাশ করেছেন। ফিফা.কম-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমার লক্ষ্য এটি জয় করা। আমরা নিঃসন্দেহে বিশ্বের অন্যতম সেরা দল, তাই আমরা যে প্রতিযোগিতায় অংশ নিই, সেটি জয়ের উদ্দেশ্যেই খেলি।’ ক্লাব বিশ্বকাপে এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন (এএফসি), কনফেডারেশন অব আফ্রিকা ফুটবল (সিএএফ) ও উত্তর ও মধ্য আমেরিকা এবং ক্যারিয়ান অঞ্চল ফেডারেশন (কনকাকাফ) থেকে ৪টি করে মোট ১২টি ক্লাব অংশ নেবে। এছাড়া দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চল (কনমেবল) থেকে ৬টি, অস্ট্রেলিয়া ফুটবল ফেডারেশন (ওএসসি) থেকে ১টি, ইউরোপিয়ান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (উয়েফা) থেকে সর্বোচ্চ ১২টি ও হোস্ট হিসেবে খেলবে যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাব ইন্টার মিয়ামি।