বগুড়ার গাবতলীতে ধর্ষন সংক্রান্ত ঘটনা তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশকে স্থানীয় লোকজন অবরুদ্ধ করে অস্ত্র ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা ও মারপিট এবং আটক করে রাখে। ঘটনারস্থানে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে অবরুদ্ধ পুলিশদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। ১৯ মার্চ রাতে উপজেলার নাড়ুয়ামালা ইউনিয়নের মেন্দিপুর মোন্নাপাড়া গ্রামে এঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে থানায় ১২ জনের নামে একটি মামলা দায়ের করেছে । ঘটনার সাথে জড়িত নারী পুরুষ সহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠিয়ে দিয়েছে।
থানা সুত্রে জানাগেছে, গাবতলী মডেল থানার সাব ইন্সপেক্টর তৌহিদুল ইসলাম, শরীফুল ইসলাম, গোলাম মোস্তফাসহ সংঙ্গীয় ফোর্স ১৯ মার্চ রাতে মেন্দিপুর মোন্নাপাড়া গ্রামে ধর্ষণ সংক্রান্ত এক ঘটনায় তদন্ত করতে যায়। এ সময় স্থানীয় লোকজন পুলিশকে মারপিট করে ঘরে আটক করে রাখে। পুড়িয়ে মারার হুমকি দেয় ও সরকারী অস্ত্র ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে।
সংবাদ পেয়ে থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অবরুদ্ধ পুলিশ ফোর্সদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
পুলিশের সরকারী কাজে বাধা প্রদান, সরকারী অস্ত্র ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা, আক্রমণ, ভয়ভীতি আটক ও হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিট করার অপরাধে সাব ইন্সপেক্টর তৌহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখ ও বেশ কিছু অজ্ঞাত নারী ও পুরুষকে বসামী করে গাবতলী মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। ঘটনার সাথে জড়িত, মেন্দিপুর গ্রামের আব্দুস ছাত্তারের ছেলে রাসেল মিয়া (২৬), রাসেলের স্ত্রী সুমাইয়া আক্তার (১৯), আব্দুস ছাত্তারের মেয়ে সাথী আকতার (২৬) ও একই গ্রামের আব্দুল বাছেদ মোল্লার ছেলে মোঃ হাসান (২২) কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গাবতলী মডেল থানার ওসি আশিক ইকবাল বলেন, পুলিশের উপর হামলা ঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। নারী পুরুষ সহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ২০ মার্চ গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামীদের গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত আছে।