পাবনার চাটমোহরে যৌথ বাহিনীর অভিযানে গাঁজা ও অস্ত্রসহ গ্রেফতার হয়েছে মাদক সম্রাজ্ঞী রুবি খাতুন (৪০)। সে উপজেলার নিমাইচড়া ইউনিয়নের মির্জাপুর গ্রামের কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী ইদ্রিস আলী ইদ্দি’র স্ত্রী। বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেনাবাহিনী ও থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে নিজ বাড়ি থেকে রুবি খাতুনকে গ্রেফতার করে। এসময় তার ঘরের ভেতর থেকে ৬ কেজি ২শ’ গ্রাম গাঁজা,২টি চাপাতি ও ২টি চাকু জব্দ করা হয়। এদিন রাতে চাটমোহর থানায় মাদক ও অস্ত্র আইনে মামলা হলে শুক্রবার (২১ মার্চ) তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। গ্রেফতারকৃত রুবি ও তার স্বামী ইদ্রিস আলীর বিরুদ্ধে একাধিক মাদক মামলা রয়েছে। ৫ আগস্টের পর সেনাবাহিনীর অভিযানে তারা গ্রেফতার হয়েছিল। পরে জামিনে ছাড়া পায়।
চাটমোহর থানার অফিসার ইনচার্জ মনজুরুল আলম বলেন,গোপন সংবাদের ভিত্তিতে যৌথ অভিযান চালিয়ে রুবিকে আটক করা হয়। এসময় তার ঘরের ভেতর থেকে গাঁজা ও অস্ত্র জব্দ করা হয়। এ ব্যাপারে থানায় মামলা হয়েছে। শুক্রবার আটককৃতকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
চাটমোহরে প্রতিপক্ষের মারপিটে গুরুতর আহত
এফএনএস (হেলালুর রহমান জুয়েল; চাটমোহর, পাবনা) : পাবনার চাটমোহরে পূর্ববিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের মারপিটে ও ধারালো অস্ত্রের আঘাতে এক ব্যক্তি গুরুতর আহত হয়েছেন। তাকে প্রথমে চাটমোহর ও পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত ব্যক্তি হলেন উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের পাঁচবাড়িয়া গ্রামের মৃত আক্কেল আলী মোল্লার ছেলে আশরাফ আলী মোল্লা (৬৫)। ঘটনাটি ঘটেছে গত বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) দুপুরে।
অভিযোগে জানা গেছে,হরিপুর ইউনিয়নের চড়ইকোল গ্রামের বিএনপি নেতা গাজিউর রহমান গং এর সাথে বিরোধ চলছিল পাঁচবাড়িয়া গ্রামের সাবেক মেম্বার শাহজাহান গং এর। এরই জর ধরে গত কয়েকদিন ধরেই ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও মারপিটের ঘটনা ঘটছিল। এনিয়ে বুধবার রাতে থানায় বৈঠক বসে। বৃহস্পতিবার সকালে হরিপুর ইউনিয়ন বিএনপি’র সাবেক সভাপতি কফিল উদ্দিন ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম বিষয়টি মীমাংসার জন্য চড়ইকোল বাজারে বসেন। এসময় কফিল উদ্দিনের ভাই গাজিউর রহমান গং আশরাফ আলী মোল্লাকে মাঠের মধ্যে একা পেয়ে প্রচন্ড মারপিট করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। এতে আশরাফ আলীর পায়ের রগ কেটে যায় ও শরীর বিভিন্ন স্থানে কেটে দেওয়া হয়। খবর পেয়ে গ্রামের লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে একটি ভুট্টা খেত থেকে আশরাফ আলীকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। পরে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
এ বিষয়ে চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনজুরুল আলম বলেন,এ ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কেউ অবিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।