জিডিপি’র অনুপাত বাড়াতে পারলে বিদেশি সহায়তা লাগবে না: বিশেষ সহকারী

এফএনএস অনলাইন: : | প্রকাশ: ১৫ এপ্রিল, ২০২৫, ০৮:০০ পিএম
জিডিপি’র অনুপাত বাড়াতে পারলে বিদেশি সহায়তা লাগবে না: বিশেষ সহকারী

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী মঙ্গলবার স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণ নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠকের বিষয়ে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বললেন, 

“আমাদের নিজের পায়ে দাঁড়াতে হবে, আমাদের যথেষ্ট শক্তি আছে। আমরা মধ্যম আয়ের দেশ হতে যাচ্ছি। আমাদের ট্যাক্স জিডিপির অনুপাত এত কম হবে কেন। ভিয়েতনামে ১৯ শতাংশ, ভুটানে ১১-১৩ শতাংশ, কম্বোডিয়ার ১৫ শতাংশ। এখানে আমরা এখনও ৬-৭ শতাংশে থাকবো তা তো হয় না। আমাদের ট্যাক্স জিডিপি’র অনুপাত বাড়াতে পারলে বিদেশি সহায়তা লাগবে না।”

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আরও যোগ করে বলেন, 

“এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন পেছানোর কথা অবান্তর। আমরা যে শুল্কমুক্ত, কোটামুক্ত সুবিধা পাচ্ছি, ২০২৬ সালে সেটা কিন্তু বন্ধ হয়ে যাবে না। ইতোমধ্যে অনেক দেশ আমাদের বলেছে, আমাদের জন্য জটিল একটা মার্কেট ইউরোপীয় ইউনিয়ন বলেই দিয়েছে ২০২৯ সাল পর্যন্ত সুবিধা দেবে। তাহলে আমরা কেন পিছিয়ে দেবো। অস্ট্রেলিয়া বলেছে গ্র্যাজুয়েশন করুক আর নাই করুক, সুবিধা যা আছে সেগুলো চলবে। ইউকে একই কথা বলেছে। সম্প্রতি প্রধান উপদেষ্টা চীনে গেলেন, সেখানেও চীন বললো যে সুবিধা দিতে থাকবে। তাহলে যে জায়গায় আমাদের ব্যবসায়ী বন্ধুরা চিন্তিত, সেটা কিন্তু ইতোমধ্যে উত্তরণ হয়ে গেছে। এটা একটা বুঝার সমস্যা।”

ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী বলেন, 

“আমাদের নিজস্ব কিছু প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতায় দুর্বলতা আছে। যেমন- আমাদের আলাদা কোনও বাণিজ্য সংস্থা নেই। এজন্য আমরা পদক্ষেপ নিয়েছি আলাদা সেল করার, তারা শুধু বাণিজ্য সংক্রান্ত কাজ করবে। আমরা শক্ত একটা ট্রেড নেগোসিয়েশন বডি তৈরি করবো।”

বিদেশি সহায়তা নিয়ে তিনি বলেন, 

“আন্তর্জাতিক সহায়তা কোনও বড় ইস্যু না। এই বিদেশি সহায়তা আমাদের কলোনিয়াল নির্ভরতা। জিডিপির তুলনায় সহায়তার আনুপাতিক হার আমরা কমিয়ে এনেছি। এটার পরিমাণ খুব অল্প। এটা না পেলেও আমাদের অসুবিধা হবে না। বিদেশি সহায়তার ওপর নির্ভর করলে আমাদের অলসতা বেড়ে যায়। গত সরকারের আমলে বিদেশি সহায়তার ওপর নির্ভরতা বেড়েছে ২০১০ সাল থেকে। তখন থেকে ট্যাক্স জিডিপি রেশিও আমাদের ১০ শতাংশ থেকে ৬ শতাংশে নেমেছে। এজন্য আমাদের অভ্যন্তরীণ সম্পদ কাজে লাগানোর উদ্যোগ নিয়েছি। এনবিআর সংস্কার করা হচ্ছে, পুলিশে সংস্কারে হাত দেওয়া হয়েছে।”     

‘আমাদের কর্মসংস্থানের ওপর চাপ আসতে পারে, প্রাইভেট সেক্টর চাপে পড়তে পারে, এরকম কোন কোন জায়গায় আমাদের আগামী প্রস্তুতি নেওয়া দরকার, সেগুলো নিয়েও আমরা আলোচনা করেছি। আমরা যে নীতিমালা করবো, সেখানে আমাদের সম্ভাব্য দুর্যোগ হতে পারে সেগুলো আমরা তালিকা করেছি, আমরা সেভাবে প্রস্তুত থাকবো, ইনশাল্লাহ। একটা উচ্চ পর্যায়ের কমিটি হচ্ছে, তারা সার্বক্ষণিক এটাকে মনিটর করবে। আমাদের এখানে পর্যবেক্ষক হিসেবে শুধু সরকারি কর্মকর্তা থাকবে না, আমরা প্রাইভেট সেক্টর থেকে লোক রাখবো, আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ নিয়ে আসবো। প্রয়োজনে আমরা স্টেকহোল্ডার যারা আছে, সবাইকে সঙ্গে নিয়েই এই যাত্রা করবো’-যোগ করে বিশেষ সহকারী।

0 LIKE
0 LOVE
0 LOL
0 SAD
0 ANGRY
0 WOW
আপনার জেলার সংবাদ পড়তে