বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, দেশে যদি ধর্মীয় উগ্রবাদ ও চরমপন্থা নিয়ন্ত্রণ করা না যায়, তবে ফ্যাসিবাদীরা আবারও গণতন্ত্র হত্যা করার সুযোগ পাবে। এতে শুধু অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক পরিস্থিতি নয়, আন্তর্জাতিক পরিসরেও বাংলাদেশের ভাবমূর্তি সংকটে পড়বে।
বুধবার (১৯ মার্চ) রাজধানীর লেডিস ক্লাবে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সম্মানে আয়োজিত এক ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
তারেক রহমান বলেন, "দেশের স্থিতিশীলতা ও গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা নিশ্চিত করতে হলে ধর্মীয় উগ্রবাদ ও চরমপন্থার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। এই গোষ্ঠীগুলোর অপতৎপরতা যদি বন্ধ করা না যায়, তবে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার লড়াই বাধাগ্রস্ত হবে এবং রাষ্ট্র আবারও স্বৈরশাসনের দিকে ধাবিত হতে পারে।"
তিনি আরও বলেন, "নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তে গণহত্যাকারীদের বিচার নিশ্চিত করাই হবে অন্যতম অগ্রাধিকার। অতীতে নির্বাচন না দেওয়ার কারণেই ফ্যাসিবাদী শক্তির বিদায় ঘটেছে। ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের শক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে, সে জন্য একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের প্রয়োজন।"
সরকারের কিছু উপদেষ্টা ও কয়েকটি রাজনৈতিক দলের ভিন্ন সুরে কথা বলার বিষয়ে তারেক রহমান বলেন, "যদি জনগণের আকাঙ্ক্ষাকে উপেক্ষা করে গৌণ উদ্দেশ্যকে গুরুত্ব দেওয়া হয়, তবে জনগণের কাছে ভুল বার্তা পৌঁছাবে। এটি দেশের গণতান্ত্রিক চেতনার জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।"
তিনি রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, "দেশের ভবিষ্যৎ রক্ষায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য কৌশলগতভাবে রাজনৈতিক ঐক্য গড়ে তুলতে হবে এবং অগণতান্ত্রিক শক্তিকে প্রতিহত করতে হবে।"
ইফতার মাহফিলে বিএনপির শীর্ষ নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি ও সুশীল সমাজের বিশিষ্টজনরা উপস্থিত ছিলেন।