কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ঢ়ুকে চিকিৎসাধীন দুই রোগী সহ চারজনের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে । শুক্রবার বিকেলে উপজেলার পাটোয়ার গ্রামের ইমরান হোসেন ও ফরিদের নেতৃত্বে এ হামলার ঘটনা ঘটে। হামলার ঘটনায় ঐ গ্রামের কাজী মোস্তফা কামাল বাদী হয়ে শুক্রবার রাতে থানায় ২৮জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করে।পুলিশ পাটোয়ার গ্রামের ফরিদ ও শাকিলকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করে।
মামলায় আসামীরা হলেন, উপজেলা হেসাখাল ইউপির পাটোয়ার গ্রামের ইমরান হোসেন (২৫),ফরিদ আহমেদ (৪০),কাজী রোটন(৩৬),কাজী সাকিব(২৫),সিয়াম(১৯),কাজী আনোয়ার(৪৫),কাজী জয়নাল আবেদীন (৫৫),কাজী আব্দুল মান্নান(৬২),শাকিল(২২),হাসান(২৭),হাসিব(২০),সাব্বির (১৯),সানিম(২০),কাজী আনিসুল হক(৫২),পলাশ(২৩),কাজী সোহাগ(২৮)সহ অজ্ঞাত ১২জন।
হামলায় আহতরা হলেন, হেসাখাল ইউনিয়নের পাটোয়ার কাজী বাড়ির নাছির উদ্দিনের ছেলে কাজী আশিক (১৬), কাজী মানিক মিয়ার ছেলে কাজী মেহেদী (২১) এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ডাক্তারের সহকারী জাকির ও সুজন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বরত চিকিৎসক ডাক্তার সালাউদ্দিন আজগর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, শুক্রবার বিকেলে কয়েকজন যুবক জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসা দুই রোগীর ওপর হামলা ও মারধর করে টেনে হিঁচড়ে বাহিরে নিয়ে যায়। তাদের বাধা দিলে আমার দুই সহকারীকেও মারধর করে তারা। বিষয়টি সঙ্গে সঙ্গে নাঙ্গলকোট থানার ওসিকে অবহিত করি। হাসপাতালে ঢ়ুকে এ ধরনের হামলার তীব্র নিন্দা জানাই।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পাটোয়ার কাজী বাড়ির ফরিদ ও জুলফিকারের সহযোগীরা পুকুর থেকে মাটি বিক্রি করে ওই মাটি আনিছ মিয়ার বাড়ীর পাশের রাস্তা দিয়ে নিয়ে যাওয়ায় তিনি বাধা দেন। এ নিয়ে শুক্রবার জুমার নামাজের পর দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে কয়েকজন আহত হন। এর জের ধরে পুনরায় হাসপাতালে এসে হামলা করে তারা।
মামলার বাদী কাজী মোস্তফা কামালকে মোবাইল ফোনে একাধিক বার কল দিয়ে না পাওয়ায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। নাঙ্গলকোট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে ফজলুল হক বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। দুই আসামীকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে।