গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে হৃদয় মিয়া (২৫) নামের এক যুবকের মরদেহ শয়ন ঘর থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (১৫ মার্চ) সকালে উপজেলার মহদীপুর ইউনিয়নের পার্বতীপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত হৃদয় ওই গ্রামের আনারুল ইসলামের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানা যায়, হৃদয় মিয়া প্রায় অর্ধমাস আগে তার বন্ধুর স্ত্রী লামিয়া বেগমকে ২য় স্ত্রী হিসেবে বিয়ে করে বাড়ীতে নিয়ে আসেন। স্বামীর বাড়ী আসার পর লামিয়া জানতে পারে তার আগেও একটি বউ আছে। এরপর থেকেই লামিয়া বাবার বাড়ীতে ফিরে যেতে চায়। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া-বিবাদ হতে থাকে। শুক্রবার (১৪ মার্চ) রাতে আবারো স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ শুরু হয়। শনিবার (১৫ মার্চ) সকালে লামিয়ার চিৎকারে বাড়ীর লোকজন ছুটে এসে দেখতে পায় হৃদয়ের মরদেহ পড়ে আছে।
লামিয়া জানান, আমাদের সম্পর্ক করে বিয়ে হয়েছে। আমার আগের স্বামী-সন্তান আছে। গত রাতে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে হৃদয় গলায় ফাঁসি দেয়ার চেষ্টা করে। আমি তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছিলাম। তবে রাতে আবার কখন গলায় ফাঁস দিয়েছে বুঝতে পারিনি।
থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. জুলফিকার আলী ভূট্টো জানান, হৃদয়ের স্ত্রী ও পরিবারের লোকজন থানায় এসেছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় ব্যবস্থা নেয়া হবে।