পুঠিয়ায় রাত হলেই পরিবহন চালকদের ছিনতাই ডাকাতির আশঙ্কা

কে এম রেজা; পুঠিয়া, রাজশাহী : | প্রকাশ: ১৭ মার্চ, ২০২৫, ১২:০২ পিএম
পুঠিয়ায় রাত হলেই পরিবহন চালকদের ছিনতাই ডাকাতির আশঙ্কা

রাজশাহীর পুঠিয়ায় রাত হলেই ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কের ২৭ কিমি সড়ক অরক্ষিত হয়ে পড়ছে। পরিবহন চালকদের দাবি প্রতিরাতে শতাধিক নম্বারবিহীন বালু ও মাটি বহনকারী ট্রাক চলাচল করায় সড়কে যানজটের সৃষ্টি হওয়ায় পরিবহনে ছিনতাই ডাকাতি আশংকায় তাদের সড়কে চলাচল করতে হচ্ছে। পরিবহন মালিকদের অভিযোগ,হাইওয়ে পুলিশের অনিয়ম দুনীতির ও গাফিলতির কারণে মাঝেমধ্যে সড়কে অপরাধ সংগঠিত হচ্ছে। মাসিক চুক্তি না করলে কোনো যানবাহন সড়কে চলাচল করা সম্ভব হয় না। উপজেলার শিবপুর নামক স্থানে পবা হাইওয়ে নামে একটি থানা রয়েছে। ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কের পুঠিয়ার পোল্লাপুকুর হতে নাটোর জেলার বেলঘড়িয়া পর্যন্ত ২৭ কিলোমিটার সড়ক এই হাইওয়ে থানা পুলিশ যানবাহনগুলো নিয়ন্ত্রণ করে থাকেন। শিমুল আলি পরিবহন যাত্রীবাহি চালক বলেন, বালু ও মাটি ভর্তি ট্রাকের কারণে রাতে গাড়ি খুবই ধীরগতিতে চালাতে হয়। ট্রাকগুলো আবার আমাদের গাড়িগুলোকে সাইড দিতে চাই না। তারপর, প্রতিটি ট্রাকে ৬০/৭০ টন বালু/মাটি ভর্তি করে সড়কে চলাচল করছে। শুধুমাত্র ধীরগতির কারণে ছিনতাই ডাকাতির মতো বিভিন্ন রকম সমস্যা আমাদের পড়তে হচ্ছে। বর্তমানে জেলা জুড়ে নতুন পুকুর খননের হিড়িক পড়েছে। আর খননকৃত মাটিগুলো ইটেরভাটাসহ বিভিন্ন নীচুস্থান ভরাট করার কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। বিড়ালদহ বাজারের সিদ্দিকুর রহমান বলেন, মাটি বোঝায় করা ১০ চাকার ট্রাকগুলো বেশিরভাগ নম্বার প্লেট নেই। প্রতিমাসে হাইওয়ে থানা পুলিশকে চুক্তি মোতাবেক টাকা দিয়ে গাড়িগুলি চলে থাকে। তারাপুর বাজারের সুমন মোল্লা বলেন, পবা হাইওয়ের থানা পুলিশ ফাঁকা স্থানে যানবাহনরে কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করার নাম করে দিনরাত চাঁদাবাজি করতে দেখা যায়। যেসব যানবাহন সঙ্গে তাদের চুক্তি নেই। শুধুমাত্র তাদের নামে বড় টাকার জরিমানার মামলা করা হয়। রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার মাছ বহনকারি ট্রাক চালক সিয়াম হোসেন বলেন,পবা হাইওয়ে থানা, রাজশাহী জেলার বানেশ্বর ট্রাফিক পুলিশ থেকে শুরু করে ঢাকা যেতে পথের ভেতর যতগুলো হাইওয়ে থানা এবং ট্রাফিক পুলিশ আছে তাদের সঙ্গে আমাদের মাসোহারা করা আছে। বানেশ্বর ট্রাফিক মোড়ের দোকানদার ইসমাইল হোসেন বলেন, ট্রাফিকরা সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করে না। কিন্তু গোপনে পরিবহনগুলো হতে ঘুষ আদায় করে। এই সড়কে পবা হাইওয়ে থানার সঙ্গে সড়কে সকল প্রকার যানবাহনের মাসিক চুক্তি রয়েছে বলে একাধিক যানবাহন মালিক এবং চালকরা এফএনএসকে জানিয়েছেন। পবা হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কাজী মোজাম্মেল হক প্রতিরাতে মাটি ও বালুবাহি অবৈধ যানবাহনগুলোকে সড়কে চলাচল করার সুযোগ দিয়ে মোটাঅংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। মাটিবাহি ট্রাকগুলো বেশিরভাগ ওসির শ্বশুড় বাড়ির এলাকার। তাই তাদের মাধ্যমে মাটিবাহি ট্রাকের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে। এ ব্যাপারে পবা হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কাজী মোজাম্মেল হক এফএনএসকে বলেন, রাতে সড়কে যাদের দায়িত্ব দেওয়া হয় তারা আমাকে বলেন, মাটিবাহি ট্রাক তারা দেখতে পায় না। কোনো যানবাহনের সঙ্গে তাদের চুক্তি নেই।

0 LIKE
0 LOVE
0 LOL
0 SAD
0 ANGRY
0 WOW
আপনার জেলার সংবাদ পড়তে