ফুলবাড়ীতে ৯৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের একটি সেতুই ভরসা দর্শণার্থীদের!

এফএনএস (ফুলবাড়ী,কুড়িগ্রাম): : | প্রকাশ: ২ এপ্রিল, ২০২৫, ০৯:১০ পিএম
ফুলবাড়ীতে ৯৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের একটি সেতুই ভরসা দর্শণার্থীদের!

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলায় নেই কোনো বিনোদন কেন্দ্র। এখানক্রা বিনোদন প্রেমী মানুষরা তাই ছুটছেন ফুলবাড়ী উপজেলার উপর প্রবাহমান ধরলা নদীর উপর নির্মিত ৯৫০ মিটার দৈর্ঘ্যরে ফুলবাড়ী সেতুতে দেখতে। মোটরসাইকেল, অটোরিকশা, ভ্যানসহ বিভিন্ন যানবাহনে করে ফুলবাড়ী উপজেলার বিভিন্ন স্থানের বিনোদন প্রেমী মানুষসহ কুড়িগ্রাম, নাগেশ্বরী, লালমনিরহাট ও বড়বাড়ী এলাকার বিনোদন প্রেমী মানুষরা এই সেতু পাড়ে ছুটে এসেছেন।

পহেলা বৈশাখ, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহায় ফুলবাড়ী সেতু পাড়ে ছুটে আসেন বিনোদন প্রেমী হাজার হাজার মানুষ। অন্যান্য বারের মতো পবীত্র ঈদুল ফিতরের প্রথমদিন থেকে ফুলবাড়ী সেতু পাড়ে ছুটে আসে নারী-পুরুষ মিলে সব বয়সী মানুষ। বিনোদন প্রেমী মানুষের এই আনাগোনা ।ীদের তৃতীয় দিনেও দেখা গেছে। সেতু পাড়টি ঘুরে দেখা গেছে, ফুলবাড়ী সেতুর পশ্চিম ও পূর্ব পাড়ে হাজার হাজার মানুষের উপচে পড়া ভিড়। বিনোদন প্রেমী মানুষরা সেতুর উপরে ও নিচে ধরলা নদীর বালুচরে হাটা-চলা করছেন। মোবাইল ফোন ও ক্যামেরা ব্যবহার করে তুলছেন ছবি, সেলফি।

কেউ আবার বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে গলা ছেড়ে গাইছেন গান। কেউ আবার মিউজের তালে তালে নৃত্য পরিবেশন করে দর্শণার্থীদের মনোযোগ আকর্ষণ করছেন। কেউ কেউ আবার নৌকা ভাড়া করে নিয়ে ফুলবাড়ী সেতুর নিচে ধরলা নধী পাড়ি দিচ্ছেন। সব মিলে ফুলবাড়ী সেতুটি এখানকার মানুষের একটি বিনোদন কেন্দ্রে পরিনত হয়েছে। ঈদগাহ ময়দানে নামাজ শেষ করেই বিনোদন প্রেমী মানুষরা ছুটে আসেন ফুলবাড়ী সেতু পাড়ে। প্রায় সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ফুলবাড়ী সেতু পাড়টি হাজার হাজার দর্শণার্থীর উপস্থিতিতে পূর্ণ হয়ে ওঠে। বিপুল সংখ্যাক মানুষের উপস্থিতির কারনে সেতুর দুই পাড়ে বিভিন্ন খাবার সামগ্রীর দোকানসহ খেলনার দোকান বসে। 

সেতু পাড়ে আসা নব বিবাহিত মিনারুল ইসলাম জানান, ফুলবাড়ীতে কোনো বিনোদন কেন্দ্র গড়ে না ওঠায় আমরা পহেলা বৈশাখসহ দুই ঈদে ফুলবাড়ী সেতুকে বিনোদন কেন্দ্র মনে করে মনের খোড়াক মেটাতে সেতু পাড়ে চলে আসি। এবারও ঈদে আমি আমার স্ত্রীকে নিয়ে বিনোদন পেতে এই সেতু পাড়ে এসেছি ও আনন্দ উপভোগ করেছি।

স্থানীয় মিডিয়া কর্মী মাইদুল ইসলাম জানান, ফুলবাড়ীতে কোনো প্রকার বিনোদন কেন্দ্র গড়ে না ওঠায় ধরলা নদীর উপর নির্মিত ৯৫০ মিটাপর দৈর্ঘ্যরে সেতুটিকে এখানকার মানুষ বিনোদন কেন্দ্র ভেবে বিশেষ দিন গুলোতে ছুটে আসে। আমিও ছুটে এসেছি। আমাকে বেশ ভালো লেগেছে।

0 LIKE
0 LOVE
0 LOL
0 SAD
0 ANGRY
0 WOW
আপনার জেলার সংবাদ পড়তে