দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলার নতুন ব্রিজের উত্তর পার্শ্বে বীরগঞ্জ রোডে কামোর হাট থেকে বিসিআইসি সার ডিলার খান এন্টার প্রাইজ এর প্রোঃ বাক্কার খান এর রাতের আধারে কাহারোলের বাইরে ৩০ বস্তা ডিএপি সার পাচারের সময় আটক করে স্থানীয় লোকজন। গত ১২ মার্চ ২০২৫ইং তারিখে রাত আনুমানিক ১০ টার সময় স্থানীয় লোকজন সার আটক করে, কাহারোল উপজেলা নির্বাহী অফিসার কে মুঠোফোনে জানাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাৎক্ষণিক কাহারোল থানার অফিসার ইনচার্জ কে জানান। কাহারোল থানার পুলিশ ৩০ ডিএপি সার ও ভটভটি আটক করে থানায় নিয়ে আসে। বর্তমানে ৩০ বস্তা ডিএপি সার ও ভটভটি থানায় আটক রয়েছে। সারের মালিক ও ভটভটি চালককে খুজে পান নাই কাহারোল থানার পুলিশ। এলাকাবাসীর দাবির মুখে তাৎক্ষণিক খান এন্টারপ্রাইজ কামোর হাটের সারের গুদাম কৃষি বিভাগ তদন্ত করেন। প্রকৃত পক্ষে সারের মালিক কে? এই বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি কৃষি বিভাগের কৃষি কর্মকর্তা। তবে তিনি বলেন, প্রকৃত সারের হিসাব ও মালিক চিহ্নিত করার জন্য ৪ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির প্রধান করা হয়েছে প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা: মো: আবু সরফরাজ আলী। তার সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, তদন্ত এগিয়ে যাচ্ছে অল্প কয়েকদিনের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেওয়া হবে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের হাতে।
আটককৃত সারের বিষয়ে কাহারোল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রুহুল আমিন বলেন, থানায় একটি সারের বিষয়ে জিডি করা হয়েছে এবং বিজ্ঞ আদালতকে সারের বিষয়ে অবগত করা হয়েছে।
কাহারোল উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ খুরশিদ হাসান বলেন, আমি সহ কমিটির সদস্যগণ খান এন্টারপ্রাইজের গুদাম ঘর ও সার বিক্রয়ের মেমো এবং তার খাতা যাচাই বাছাই করা হয়েছে, তদন্ত সাপেক্ষে বলা যাবে।
কাহারোল উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের কৃষি কর্মকর্তা মল্লিকা রানী সেহান বীশ এর সঙ্গে আমাদের প্রতিনিধির কথা হলে, তিনি বলেন উক্ত সার বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে ৪ সদস্য বিশিষ্ট। তদন্তর রিপোর্ট পাওয়ার পর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ ব্যপারে কাহারোল উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও বীজ ও সার মনিটরিং কমিটির সভাপতি মোঃ আমিনুল ইসলাম বলেন, তদন্ত কমিটির রিপোর্টের পর জানা যাবে প্রকৃতপক্ষে সারের মালিক কে?
কামোর হাট ও রসুলপুর ইউনিয়নের কৃষকদের দাবি ইতিপূর্বে বিসিআইসির ডিলার খান এন্টারপ্রাইজ এর আগে অনেকবার সার বাইরে বিক্রি করেছে ধরাও পরেছে কৃষি অফিসে মুচলিকা দিয়ে ছাড়াও পেয়েছেন। কৃষকদের দাবি সঠিক তদন্ত করে ঐ ডিলারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি দেওয়া প্রয়োজন।