বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক পার্টির চেয়ারম্যানের তারেক রহমানকে নিয়ে উদ্ভট বক্তব্য

এফএনএস (মোঃ একরামুল হক মুন্সী; চিতলমারী, বাগেরহাট) : : | প্রকাশ: ২৯ মার্চ, ২০২৫, ০৭:০৫ পিএম
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক পার্টির চেয়ারম্যানের তারেক রহমানকে নিয়ে উদ্ভট বক্তব্য

বাগেরহাটের চিতলমারীতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক পার্টির চেয়ারম্যান এবং বিএনপির শরীকদল পরিচয়ে ধানের শীষের মনোনয়ন নিয়ে বাগেরহাট-১ আসনের চিতলমারী-মোল্লাহাট ও ফকিরহাট এলাকায় সংসদ সদস্য হিসাবে প্রতিদ্বন্দীতা করতে যাচ্ছেন বলে ঘোষনা দিয়েছেন। ইতিপূর্বে তিনি গণ সংযোগ শুরু করেছেন, তবে তার গণসংযোগ একটু ব্যতিক্রম বলে এলাকার বিএনপি ভাবাপন্ন এবং ত্যাগি নেতাদের মাঝে সমালোচনার ঝড় বৈছে। গণ সংযোগে তিনি প্রায়স: বলে বেড়াচ্ছেন বিএনপির ভার প্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তাকে ১ আসনে মনোনয়ন প্রদানের চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। জনাব তারেক রহমানের সাথে তার প্রায়ই স্কাইপে আলাপ হয় এবং তার ভাষ্যমতে তিনিই প্রার্র্থী হিসাবে চুড়ান্ত পর্যায়ে। শুক্রবার (২৮মার্চ) সন্ধ্যায় তার নির্বাচনী অস্থায়ী কার্যালয়ে  একটি টেলিভিশন বিতরণ কালে এসব কথা বলেন।

এসএম শাহাদাৎ নামের এই নেতা কয়েকযুগ ধরে ঢাকায় ব্যবসা বানিজ্য করে আসছেন। বর্তমান তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তবাদী গনতান্ত্রিক পার্টি নামকরনে একটি দলের নিবন্ধন নিয়ে বিএনপির শরীকদলের পরিচয়ে ধানের শীষের প্রার্থী হিসাবে বাগেরহাট ১ আসনে নির্বাচন করতে চান! কিন্তু তার দলের কোন কমিটি বাগেরহাট জেলায় বা খুলনা বিভাগে আছে কিনা সন্দেহ রয়েছে এটা অনেক বিএনপি নেতাদের মন্তব্য। এলাকায় এসে তিনি কতিপয় আওয়ামী লীগের পদধারী লোকদেও সাথে নিয়ে ধানের শীষের প্রার্থী হিসেবে ভোট চাইছেন।

মজার বিষয় হল, পলাতক শেখ হাসিনা সরকারের সময় (তার আপন চাচাতো ভাই) বাগেরহাট-১ আসনের সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দীন এই এলাকার সর্বেসর্বা ছিলেন। তখন তার প্রতিনিধি হিসেবে এলাকার বিএনপি- জামায়াতসহ ভিন্নমতের সাংবাদিকদের নিধনের দায়িত্ব পান উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক (বর্তমান পলাতক) পীযূষ কান্তি রায়ও তার দলীয় ক্যাডারা। এই পীযূষ কান্তি রায়ের ইশারায় বিএনপির বিরুদ্ধে চলতো নামে-বেনামে শতশত মামলা। ছাড় পাননি ভিন্নমতের সাংবাদিকরাও।

 কন্ঠ রোধ করতে ডিজিটাল আইনসহ অনেক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়ে ছিলো। প্রশাসন থেকে কোন জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে ভিন্নমতের সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে দরখাস্ত দেয়া হলে তাদের অনুমতি দেয়া হতনা, অদৃশ্য ইশারয়। এই সুযোগে চিতলমারীর আওয়ামী দলবাজ বঙ্গমাতা জেলা সাংকৃতি জোটের নেতা দ্বয়সহ ছাত্র লীগ-যুবলীগ ও বিভিন্ন লীগ পহ্নিদের সাংবাদিক পরিচয়ে প্রশাসন থেকে নির্বাচন পর্যবেক্ষনের অনুমতিপত্র নেয়া হতো। এবং ভোট কেন্দ্রে নৌকার ব্যালট কেটে ভোটবাক্সে পুরে দেওয়া হতো। বর্তমান দেখা যাচ্ছে  নব্য প্রকাশিত বাংলাদেশ গনতান্ত্রিক পার্টি নামের এই কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান এসএম শাহাদাৎ হোসেন তার নিজ এলাকায় ওই আওয়ামী দলবাজ ক্যাডার ভিত্তিক মিডিয়াকর্মী নামধারীদের  সাথে নিয়ে ধানের শীষের প্রচার-প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন। 

এব্যপারে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য এ্যাড. ওয়াহিদুজ্জামান দিপু বলেন, ৫ আগষ্টের পরে সারা বাংলাদেশেই কিছু উদ্ভট বক্তব্য প্রদানকারী তথাকতিথ নেতাদের ও স্ব-ঘোষিত নেতাদের আনা-গোনা শুরু হয়েছে। ফলে কিছু টোকাই এবং অসৎ প্রকৃতির ছেলে পেলেদেরও আয়ের একটা উৎস্য বেড়েছে যা সাধারণ জনগণের হাস্য-রশের ক্ষেত্র ও তৈরী হয়েছে। আপনাদের কথিত প্রার্থী সে জাতিয় কেউ হলেও হতে পারে। তবে তারেক রহমানের নাম উল্লেখ করে মিথ্যা কিছু বললে সেটা বেয়াদবীর সামিল।

0 LIKE
0 LOVE
0 LOL
0 SAD
0 ANGRY
0 WOW
আপনার জেলার সংবাদ পড়তে