জেলা কমিটির নির্দেশনা অমান্য করে

বিএনপির ইফতার আয়োজন, নেতাকর্মীদের ক্ষোভ ও অসন্তোষ

মো: ইমরান হোসাইন; তানোর, রাজশাহী : | প্রকাশ: ১৬ মার্চ, ২০২৫, ০৭:৪৮ পিএম
বিএনপির ইফতার আয়োজন, নেতাকর্মীদের ক্ষোভ ও অসন্তোষ

রাজশাহী জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির নির্দেশনায় অমান্য করে তানোর উপজেলার মুন্ডুমালা পৌরসভায় বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের আয়োজনে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। এউপলক্ষ্যে শনিবার শেষ বিকেলের দিকে মুন্ডুমালা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। মুন্ডুমালা পৌর বিএনপির সিনিয়র নেতা মাওলানা আবুল কাশেমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ইফতার ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, বেগম জিয়ার উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য মেজর জেনারেল (অব.) শরিফ উদ্দিন। বশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন, উপজেলা বিএনপির আহবায়ক আখেরুজ্জামান হান্নান, তানোর বিএনপির সভাপতি ও সরনজাই ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক খান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মফিজ উদ্দিন, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক হযরত আলী মাস্টার, সিনিয়র নেতা প্রভাষক নুরুল ইসলাম, সাবেক বাধাইড় ইউনিয়ন চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা কামরুজ্জামান হেনা, মুন্ডুমালা পৌর আহবায়ক কমিটির সদস্য প্রভাষক রেজা, ফিরোজ কবির, উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব শরীফ উদ্দিন মুন্সি ও উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক মাসুদ করিম। এদিকে, জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির নির্দেশনা দেয়া হয়েছে তানোর উপজেলায় দলীয়ভাবে কোন ইফতার দেয়া যাবে না। সেই নির্দেশনাকে অমান্য করে পৌর কমিটির আহবায়ক ও সদস্য সচিবকে না জানিয়ে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয় বলে জানান মুন্ডুমালা পৌর বিএনপির সদস্য সচিব আতাউর রহমান। তিনি আরো জানান, চলতি মাসের ১১মার্চ উপজেলার পাঁচন্দর ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের আয়োজনে ইফতার মাহফিলের প্রধান অতিথি শরিফ উদ্দিনকে বরণ করা নিয়ে দুই গ্রুপের তুমুল সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে মারাত্মক আহত হয় বিএনপি কর্মী গানিউল। তাঁকে দ্রুত উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেঙ্ েনেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রামেক হাসপাতালে রেফার্ড করেন। রামেক হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয় গানিউলকে। পরদিন বুধবার বিকেল তিনটার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গানিউল মারা যান। গত বৃহস্পতিবার বিকেলের দিকে গানিউলের জানাযার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। জানাযার নামাজের আগে উপজেলা নেতাদের সাথে সভা করেন রাজশাহী জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সাঈদ চাঁদ। সেখানে নেতাদের তিনি কেন্দ্রের নির্দেশ উপজেলার ইফতার করা যাবে না। এমন সিদ্ধান্ত জানান দেন। কিন্তু মুন্ডুমালা পৌর কমিটির সদস্য ফিরোজ কবির ও প্রভাষক রেজার সার্বিক তত্বাবধানে ইফতার অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে জেলার আহবায়ক কেন্দ্রের অনুমতি ক্রমে নিষেধ করেন। তারা জেলা কেন্দ্র কাউকে মানেন না। তিনি জেলা কমিটিকে বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত করবেন বলে জানান। ফিরোজ কবিরের কাছে বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমি এবিষয়ে কিছুই জানি না। একই ধরনের কথা বলেন প্রভাষক রেজাও। এব্যাপারে উপজেলা বিএনপির আহবায়ক আখেরুজ্জামান হান্নান জানান, জেলা কমিটি উপজেলায় ইফতার করতে নিষেধ করেছে। কিন্তু পৌরসভায় করেছে কি না জানা নেই। ইফতার পরে নেতাদের সাথে বসা হবে বলে দায় সারেন তিনি। রাজশাহী জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সাঈদ চাঁদের মোবাইলে একাধিক বার ফোন দেয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি। তবে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব বিশ্বনাথ সরকার জানান, নিষেধ করার পরও যদি ইফতার আয়োজন করে তাহলে জেলা কমিটি বসে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে। এবিষয়ে জানতে মেজর জেনারেল (অব.) শরিফ উদ্দিনের মোবাইলে একাধিক বার ফোন দেয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি। এজন্য তার কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি। ই/তা

0 LIKE
0 LOVE
0 LOL
0 SAD
0 ANGRY
0 WOW
আপনার জেলার সংবাদ পড়তে