পদোন্নতি নিয়ে সরকারি কর্মকর্তা নাখোশ। তাদের মধ্যে বিরাজ করছে চাপা ক্ষোভ ও অস্থিরতা। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় যুগ্মসচিব পদে পদোন্নতি দিতে গিয়ে বর্তমান সরকার বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছে। মূলত বিগত সরকারের দোসর হিসাবে চিহ্নিত উল্লেখযোগ্য সংখ্যক কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দেয়ায় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। তাছাড়া বিগত ১৫ বছরে বঞ্চিত বিপুলসংখ্যক কর্মকর্তা আবারো পদোন্নতিবঞ্চিত হয়েছেন। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে গোটা প্রশাসনে বিরাজ করছে চাপা ক্ষোভ ও অস্থিরতা। এ পরিস্থিতিতে অতিসম্প্রতি পদোন্নতি বঞ্চিত শতাধিক কর্মকর্তা মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের সঙ্গে দেখা করে পদোন্নতি দাবি করে লিখিত আবেদন করেছেন। তারা আশ্বাস দিয়েছেন বিষয়টি দেখবেন। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এবং সচিবালয় সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, অতিসম্প্রতি বর্তমান সরকার যুগ্মসচিব পদে ১৯৬ জন কর্মকর্তার পদোন্নতি দিয়েছে। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বিসিএস) প্রশাসন ক্যাডারের ২৪তম ব্যাচকে প্রাধান্য দেয়া হয়। ওই ব্যাচের মোট ৩৪৪ জন কর্মকর্তার মধ্যে ১৪৪ জন পদোন্নতি পেয়েছেন। ফলে শুধু ২৪তম ব্যাচেরই ২০০ জন কর্মকর্তা নিয়মিত পদোন্নতিবঞ্চিত হয়েছেন। কোনো কারণ ছাড়াই বিগত সরকারের সময় উপসচিব হিসাবে পদোন্নতিবঞ্চিত প্রায় শতাধিক কর্মকর্তাও এবার যুগ্মসচিব হিসাবে পদোন্নতিবঞ্চিত হয়েছেন। ফলে তাদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে।
সূত্র জানায়, কোনো কোনো কর্মকর্তা বিগত সরকারের আমলে যেমন নিয়মিত পদোন্নতি ও গুরুত্বপূর্ণ পদে পদায়ন পেয়েছেন, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময়েও তাদের কেউ কেউ কোনো বাধা ছাড়াই পদোন্নতি পেয়েছেন। অভিযোগ উঠেছে, সুবিধাভোগী ওসব কর্মকর্তার পদোন্নতির নেপথ্যে বর্তমান সরকারের প্রভাবশালী আমলারাই ভূমিকা রেখেছেন। যে কারণে পদোন্নতি পেতে তাদের অসুবিধা হয়নি।
এ প্রসঙ্গ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব নিয়োগ, পদোন্নতি ও প্রেষণ (এপিডি) মো. এরফানুল হক জানান, পদোন্নতিবঞ্চিতদের আবেদন পাওয়া গেছে। এখন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ যে সিদ্ধান্ত দেবে, তার জন্য অপেক্ষা করতে হবে।