নীলফামারীর সৈয়দপুরে পৈত্রিক সম্পত্তি জোরপুর্বক দখলের অপচেষ্টা,হয়রানিমুলক মিথ্যে মামলা ও অপপ্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। ১৫ মার্চ শহীদ তুলশীরাম সড়কের নিজ বাসভবনে ওই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন সুমিত কুমার আগরওয়ালা নিক্কি ও অমিত কুমার আগরওয়ালা রিক্কি।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে নিক্কি বলেন, আমি একজন ব্যবসায়ি,সমাজসেবক ও রাজনীতিবিদ। আমি বিএনপি সৈয়দপুর সাংগঠনিক জেলা শাখার সহসভাপতি। সৈয়দপুর হিন্দু কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান কল্যাণ ট্রাস্ট এর সাংগঠনিক জেলার আহবায়ক ও পূজা উদযাপন ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক। আমরা কারো সম্পত্তি জবর দখল করি না বরং আমাদের সম্পত্তির উপর গড়ে উঠেছে অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সামাজিক সংগঠন, ধর্মীয় ও দাতব্য সংস্থা।
আমাদের একটি ঐতিহাসিক বাড়ি আছে। ওই বাড়িতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী নেগৃ খালেদা জিয়া দুই বার পদধূলি দেন। আর এ বাড়িটি নিয়ে ওয়ারিশ গণের সাথে আদালতে মামলা চলমান। হঠাৎ গত ৮ মার্চ শহরের ভুমিখেকো আলতাফ হোসেন তার সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে বাড়িটি দখল নিতে আসে। এ সময় তিনি নিজেকে ভাড়াটিয়া পরিচয় দেন। দখলের সময় তাদের হাতে আমার ছেলে আহত হয়। পরে তাকে সৈয়দপুর ১০০ শয্যা সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ৯ মার্চ ওই ভুমি খেকো আলতাফের বিরুদ্ধে শহরে হিন্দুরা বিক্ষোভ মিছিল করে প্রতিবাদ জানায়। এ সময় শ্লোগানগান ছিল ভাড়াটিয়া কেন তার বাহিনী দিয়ে বাসা দখল করবে। আসলে এর রহস্য কি। বর্তমানে ওই বাড়ি নিয়ে শহরে চলছে বিভিন্ন জনের মধ্যে আলোচনা। এরই মধ্যে আলতাফ হোসেন গত ১৩ মার্চ এক সংবাদ সম্মেলন করে নিজেকে এ ঘটনার আড়াল করতে আমাকে নানা দোষারোপ করা হয়। যা ছিল মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন।
সংবাদ সম্মেলনে নিক্কি আরও বলেন,আমাদের জমি আমরা কি করবো আর না করবো সেটা পারিবারিক বিষয়। এতে ভাড়াটিয়া এসে কেন সেটি দখলে নেবে। এ থেকে বুঝা যায় তিনি অসৎ উদ্দেশ্য বাড়িটি দখলে নিতে এহেন তান্ডব চালান।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সৈয়দপুর রাজনৈতিক জেলা বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব আব্দুল গফুর সরকার, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন প্রামানিক,বিএনপি নেতা শামসুল হক, এম এ পারভেজ লিটন, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শেখ বাবলু, জমির অংশীদার সুমিত কুমার আগরওয়ালা ও অমিত কুমার আগরওয়ালাসহ অনেকে।