ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে এলজিইডি কর্তৃক নির্মাণাধীন একটি সড়কে ৩ পাশে বাঁশের বেড়া দিয়ে আটকে দেওয়া হয়েছে। যে কারনে স্থানীয় মানুষ ও যানবাহন চলাচল করতে পারছে না নির্মাণ কাজ বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। ঘটনাটি ঘটেছে কালীগঞ্জ উপজেলার রাখালগাছী ইউনিয়নের মোল্লাডাঙ্গা নামক গ্রামে। বহিরগাছী থেকে সাঁকো বাজার পর্যন্ত ৩ মিটার চওড়া ২,৬২০ মিটার পিচ রাস্তা নির্মাণ কাজটি শুরু হয় প্রায় ৩ মাস আগে। বর্তমানে ২০০০ মিটার পর্যন্ত সাব বেজের কাজ সম্পন্ন হয়েছে।নির্মাণের শুরু থেকে স্থানীয় বাসিন্দা শামছুল এবং মুজিদ নামে দুই ভাই তাদের বাড়ি সংলগ্ন রাস্তার অংশ নিজেদের ব্যক্তি মালিকানা দাবি করে আসছিলেন। একই সাথে ওই অংশ বাদ রেখে পাশের ভরাটকৃত অংশ দিয়ে রাস্তা নির্মাণের জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে তাগিদ দেন। এক পর্যায়ে গত চারদিন আগে তাদের বসতবাড়ি সংলগ্ন রাস্তার মাঝ বরাবর ৩ পাশে বাঁশের বড়া তুলে দেন। স্থানীয়রা বলছেন, ১৫ বছর যাবত এই রাস্তাটি ইটের হ্যারিংবোন একটি রাস্তা ছিল। এখন তা পিচ রাস্তা করার জন্য কাজ চলছে। কিন্তু রাস্তার জমি ব্যক্তি মালিকানা দাবি করায় শুরু হয়েছে জটিলতা। আর এ কারণেই বিলম্বিত হচ্ছে নির্মাণ কাজ, বাড়ছে দুর্ভোগ। রাস্তাটি নির্মাণকারী ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সৈকত এন্টার প্রাইজের পক্ষে সাইড ম্যানেজার রুহুল আমিন জানান,রাস্তার জমি ব্যক্তি মালিকানা দাবি করে আমাদেরকে কাজে একাধিকবার বাধা প্রদান করা হয়েছে। পূর্বে রাস্তা থেকে ভেকু পর্যন্ত উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আর বর্তমানে তো বাঁশ দিয়ে ঘিরে রেখেছে। মোল্লাডাঙ্গা গ্রামের মশিয়ার রহমান,শাহজাহান আলী,কামরুল হোসেন, সারু বিশ্বাস, আব্দুল মজিদ রাস্তা নির্মাণের ব্যাপারে আপত্তি জানিয়েছেন বলেও তিনি উল্লেখ করেন। বেশ কিছুদিন ধরে ওই জায়গাটি ঘেরা অবস্থায় পড়ে রয়েছে আছে।
এ ব্যাপারে শাহজাহান আলী জানান, রাস্তায় আমার চাচাদের ৩ শতক জমি রয়েছে। বিগত সরকারের আমলে নাসির মেম্বার জোর করে প্রাচীর ভেঙে ব্যক্তিগত জমি দিয়ে রাস্তা করেছিল। ২৬,৬২,এবং ৯২ রেকর্ডের ম্যাপ দেখলে বোঝা যাবে রাস্তার জমি কোনটা। বর্তমানে যেখানে ঘেরা রয়েছে তার পূর্ব পাশে সরকারি রাস্তার জমি স্পষ্টভাবে ম্যাপে উল্লেখ রয়েছে।
এবারে কালীগঞ্জ এলজিডি প্রকৌশলী আহসান হাবীব বলেন, ঘটনাটি আমি শুনেছি। যারা রাস্তার জমি ব্যক্তি মালিকানাধীন দাবি করছেন তাদের সাথে স্থানীয় ভাবে বসে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে দ্রুত একটি সমাধানে পৌঁছাব বলে আশা করছি।