স্বাস্থ্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম রোববার সকালে রাজধানীর আজিমপুরে স্যার সলিমুল্লাহ মুসলিম এতিমখানা কেন্দ্রে টাইফয়েডের টিকাদান কার্যক্রম উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বললেন, “সচেতনতা আর টিকাদানেই টাইফয়েড রোগ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। দেশে টাইফয়েডে এখনও শিশুদের মৃত্যু হয়- এটা আমাদের জন্য লজ্জার। ডায়রিয়া, রাতকানা রোগসহ অনেক কিছু আমরা প্রতিরোধ করেছি, এবার টাইফয়েড প্রতিরোধেও সফল হব।”
নূরজাহান বেগম বলেন, “রোগ প্রতিরোধই এখন সরকারের সবচেয়ে বড় লক্ষ্য। যত বেশি মানুষ, বিশেষ করে শিশুদের প্রতিরোধমূলক টিকার আওতায় আনা যাবে, ততই হাসপাতালে ভিড় ও চাপ কমবে।”
‘টাইফয়েড এমন একটি রোগ, যা সচেতনতা ও টিকাদানের মাধ্যমে সম্পূর্ণরূপে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। এই ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে আমরা যদি প্রতিটি শিশুর কাছে টিকা পৌঁছে দিতে পারি, তাহলে দেশে টাইফয়েডে মৃত্যুর ঘটনা বন্ধ করা সম্ভব হবে’-উল্লেখ করেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা।
এসময় সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ বলেন, টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন শুধু একটি স্বাস্থ্য প্রকল্প নয়, এটি বাংলাদেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। এই কর্মসূচি আমাদের শিশুস্বাস্থ্য সুরক্ষায় নতুন দিগন্ত খুলে দেবে।
তিনি আরও বলেন, দীর্ঘদিন ধরে টাইফয়েড একটি নীরব বিপদ হিসেবে থেকে গেছে, বিশেষ করে নিম্নআয়ের পরিবারের শিশুদের জন্য। এবার সরকারের এ উদ্যোগ সেই দুর্বল জায়গায় বড় পরিবর্তন আনবে।
উল্লেখ্য, এক মাসব্যাপী টাইফয়েড টিকাদান কার্যক্রমে ৯ মাস থেকে ১৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের বিনামূল্যে এক ডোজ ইনজেকটেবল টাইফয়েড টিকা দেয়া হবে। রেজিস্ট্রেশন কিংবা জন্মসনদ না থাকলে কেন্দ্রে গেলে টিকা পাবে শিশুরা।