মানিকছড়িতে সোহেল হত্যার ৭ আসামী আটক

এফএনএস (মোবারক হোসেন; লক্ষ্ণীছড়ি, খাগড়াছড়ি) : | প্রকাশ: ২০ জুলাই, ২০২৫, ০৩:২৫ পিএম
মানিকছড়িতে সোহেল হত্যার ৭ আসামী আটক

খাগড়াছড়ি জেলার মানিকছড়ি উপজেলার ৭ম শ্রেণি পড়ুয়া মাদ্রাসা ছাত্র মো. সোহেলকে অপহরণের পর হত্যার মূল হোতা মংসানু মারমাকে আটক করেছে পুলিশ। ১৯ জুলাই শনিবার সকালে উপজেলার গহীন অরণ্যে সেনাবাহিনীর অভিযানে আটক করা হয় জনপদের সশস্ত্র সন্ত্রাসী মংসানু মারমা। এখন পর্যন্ত এ হত্যাকান্ডে জড়িত ৭ জনকে আইনের আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ।

ঈুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ৪ জুলাই রাতে উপজেলার ছদুরখীল এলাকায় নিজ বাড়িতে ফেরার পথে মো. সোহেল নামের এক মাদ্রাসা ছাত্র নিখোঁজ হয়। এরপর অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা অপহৃত সোহেলকে মুক্তির শর্তে ৫ লাখ টাকা দাবি করেন। এ ঘটনায় প্রতিবেশী কয়েকজনকে সন্দেহ করে গত ১১ জুলাই থানায় মামলা করে সোহেলের পরিবার। মামলার পর পাড়ার সম্বু কুমার ত্রিপুরা (৩৬), গোরখানা এলাকার মো. মাঈন উদ্দিন (২১) ও মো. ইয়াছিন মিয়া (২৮)কে আটক করে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটকরা অপহরণের সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করলেও অপহৃতের সন্ধান দিতে পারেনি।

পুলিশ জানায়, গত ১৬ জুলাই উপজেলার বুদংপাড়া নামার পাড়ার গহীন অরণ্যের একটি ঝিরি থেকে অপহৃত সোহেল এর হাত-পা বাঁধা অবস্থায় অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে যৌথবাহিনী। এরপর আরও দুইজনকে আটক করা হলেও ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যায় মূল পরিকল্পনাকারী। শনিবার সকালে উপজেলার গহীন অরণ্যে থেকে মংসানু মারমা এবং আরেক অভিযানে বাবু মারমাকে আটক করতে সক্ষম হয় সেনাবাহিনী। পরে তাদের থানায় সোর্পদ করা হলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মাদ্রাসা ছাত্র সোহেল অপহরণ ও হত্যার কথা স্বীকার করে ঘটনার বর্ণনা দেয় মংসানু মারমা।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মানিকছড়ি থানার ওসি শেখ মাহমুদুল হাসান রুবেল বলেন, মাদ্রাসার ছাত্র সোহেল অপহরণ পরবর্তী হত্যার ঘটনায় জড়িত এজাহারভুক্ত মূল পরিকল্পনাকারী জনপদের আতংক সশস্ত্র সন্ত্রাসী মংসানু মারমাসহ ৭ জনকে যৌথবাহিনীর অভিযানে আইনের আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে। আটককৃতদের রোববার সকালে খাগড়াছড়ি আদালতে পাঠানো হয়। 

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে