মিয়ানমারের সশস্ত্র সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) প্রধান আতাউল্লাহ আবু আম্মার জুনুনী এবং তার পাঁচ সহযোগীকে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। সোমবার (১৭ মার্চ) ভোররাতে এই অভিযান পরিচালিত হয়, যার ফলে নিরাপত্তা বাহিনী তাদের কাছ থেকে নগদ ২১ লাখ ৩৯ হাজার ১০০ টাকা, একটি ধারালো চাকু এবং একটি স্টিলের চেইন উদ্ধার করেছে।
গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে আতাউল্লাহ (৪৮), মোস্তাক আহমেদ (৬৬), সলিমুল্লাহ (২৭), মো. আসমতউল্লাহ (২৪), হাসান (৪৩) এবং স্থানীয় বাসিন্দা মনিরুজ্জামান (২৪) অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন। তাদের মধ্যে আতাউল্লাহ এবং তার সহযোগীরা মিয়ানমারের বিভিন্ন এলাকা থেকে এসেছেন, তবে অন্যান্যরা কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বসবাস করছিলেন।
র্যাবের মুখপাত্র লে. কর্নেল মুনীম ফেরদৌস এই বিষয়ে নিশ্চিত করেছেন এবং জানিয়েছেন যে, গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে দুটি পৃথক মামলা দায়ের করা হয়েছে। ১৮ মার্চ মঙ্গলবার আদালত তাদের ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে।
আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) খোরশেদ আলম মোল্লা জানান, গ্রেফতারকৃতরা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে নাশকতামূলক কার্যক্রম চালানোর জন্য গোপন বৈঠক করছিলেন। র্যাব এবং পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে তথ্য সংগ্রহ করে, এবং সিদ্ধিরগঞ্জের ভূমিপল্লী আবাসিক এলাকায় অবস্থিত একটি বহুতল ভবনে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে।
উল্লেখযোগ্য যে, গ্রেফতারকৃতরা নিজেদের সশস্ত্র সংগঠন আরসার উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করতে বিভিন্ন জেলায় নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার পরিকল্পনা করছিল। তাদের গ্রেফতারের মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী একটি বড় সাফল্য অর্জন করেছে, যা দেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে পাঁচ দিন করে মোট ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা অর্থ এবং অন্যান্য সরঞ্জাম দেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতিতে একটি বড় ধরনের অশনি সংকেত হিসেবে দেখা হচ্ছে, যা তাদের কর্মকাণ্ডের ব্যাপকতার প্রতি ইঙ্গিত দেয়।
এ ঘটনা দেশের নিরাপত্তা বাহিনীর জন্য একটি বড় সাফল্য হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে, যা উগ্রপন্থি গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে আরও শক্তিশালী পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করায়।