আশাশুনি উপজেলার মানিকখালী ব্রীজে ইজারা গ্রহিতা মহামান্য হাই কোর্টের অনুমতি সাপেক্ষে টোল আদায় করে শান্তিপূর্ণ ভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। ইজারা গ্রহিতা মুক্তি কনস্ট্রাকশান সাতক্ষীরার পক্ষে জাকির হোসেন প্রিন্স জানান, ব্রীজের ইজারা অনুমোদন হয় ৯/১/২৫ তারিখ। ইজারা মূল্য ১,২৬,২৫০০০ টিকা। ইজারা মূল্য পরিশোধ করা হয় ১৩/০১/২৫ তাং। টোল আদায় শুরু হয় ১৪/১/২৫ তাং হতে। সড়ক বিভাগ সাতক্ষীরা ১৩/১/২৫ তাং ৯৪৩ নং স্বারকে অর্থ জমাদান সংক্রান্ত পত্রে পারাপারকারী যানবাহন হতে ৩ বছরের জন্য টোল আদায়ের নিমিত্ত সংশোধিত টোল নীতিমালা ২০২৪ অনুযায়ী ইজারা কোটেশন --- অনুমোদিত হয়। ৯/১/২৫ তাং ঢাকার প্রধান প্রকৌশলীর দপ্তর হতে বেঃসঃ নং ৭৩ প্রঃপ্রঃ স্বারকে এবং বঃবেঃ ১১ তাং ১২/১/২৫ নং স্বারক অনুযায়ী চুক্তিপত্র সম্পন্ন হয়। কিন্ত টোল চার্ট না দেওয়ায় বারবার যোগাযোগ করতে থাকি। বিভিন্ন সমস্যা মাথায় নিয়ে ইজারা গ্রহিতারা কার্যক্রম চালাতে থাকেন। এসময় নির্বাহী প্রকৌশলী ও এসডি মৌখিক ভাবে তাদের টোল রেট বেড়েছে বলে আশ্বস্থ করেন। চার্ট না পেয়ে বাধ্য হয়ে প্রায় দেড় মাস পর ২/৩/২৫ তাং টোল চার্ট পেতে লিখিত আবেদন করেন। একই দিন নির্বাহী প্রকৌশলী ২০২৪ নীতিমালার স্থলে ২০১৪ নীতিমালা অনুযায়ী টোল আদায় করতে পত্র পাঠান। এবং ৩/৩/২৫ তাং একই স্বারকে প্রতিস্থাপন করে ২০১৪ নীতিমালা অনুযায়ী টোল আদায়ের পুনরায় চিঠি করা হয়। ফলে উচ্চ মূল্যে ইজারা গ্রহিতারা ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার মুখে পড়ে। বাধ্য হয়ে ইজারা গ্রহিতা পক্ষ মহামান্য হাই কোর্টে প্রতিকার প্রার্থনা করে রিট পিটিশন (নং ৪৩৩২/২৫ তাং ১৭/৩/২৫) করেন। মহামান্য হাই কোর্ট সন্তুষ্ট হয়ে আগামী ৬ মাস পর্যন্ত টোল কালেকশান ২০২৪ অনুযায়ী আদায়ের কথা বলেছেন উল্লেখ করে জাকির হোসেন প্রিন্স বলেন, ২০১৪ নীতিমালায় টেইলার ১২৫/-, হেভী ট্রাক ১০০/-, মিডিয়াম ট্রাক ৫০/-, বড় বাস ৪৫/-, মিনি ট্রাক ৪০/-, মিনি বাস/কোস্টার ২৫/-, মাইক্রো বাস ২০/-, সিডান কার ১৫/- টাকা করে রেট আছে। ২০২৪ নীতিমালায়ও একই রেট রাখা হয়েছে। ২০১৪ নীতিমালায় কেবল মাত্র ৩/৪ চাকার মোটরাইজ যান ৫ টাকা, মটর সাইকেল ৫ টাকা ও রিক্সা ভ্যান, বাই সাইকেল ঠেলাগাড়ী ৫ টাকা করে রেট থাকলেও ২০২৪ নীতিমালায় এই তিনটি আইটেমে ৫ টাকার স্থলে ১০ টাকা করে রেট করা হয়েছে। দেখা যায় ১২ টির মধ্যে ৯টির রেট একই রয়েছে, বাড়ানো হয়েছে মাত্র ৩ টির। অথচ ব্রীজে সকল যানবাহনে অতিরিক্ত টোল আদায়ের অভিযোগ করে পত্রপত্রিকায় অপপ্রচার করা হয়েছে যা ভিত্তিহীন, মিথ্যা ও উদ্দেশ্যমূলক উল্লেখ করে প্রতিবাদ জ্ঞাপন পূর্বক তিনি জানান, আমরা প্রতিদিন ১১ হাজার ৫২৯ টাকা ৬৮ পয়সা করে সরকারি কোষাগারে জমা দিচ্ছি। এছাড়া দুটি ঘর, সিকিউরিটি, লেবার, নাস্তা খরচ বাবদ প্রতিদিন ৫৪৫৬.৬২ টাকা ব্যয় হয়ে থাকে। অর্থাৎ সর্ব সাকুল্যে প্রতিদিন ১৬ হাজার ৯৮৬ টাকা ব্যয় হয়ে থাকে। অথচ সড়ক ও জনপথ বিভাগ বিগত ৬ মাস ১৩ দিন খাস কালেকশানের মাধ্যমে প্রতিদিন অনুমান ৩ হাজার থেকে সাড়ে তিন সহস্রাধিক টাকা করে আদায় করে এসেছেন। বিগত ৬ মাস ১৩ দিনে সওজ যে টাকা আদায় ও জমা দিয়েছে তার সঠিক তথ্য পাওয়ার জন্য মহামান্য হাই কোর্টে আইনজীবির মাধ্যমে কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন আছে। তাছাড়া পূর্বে ব্রীজের ডাক ছিল (১-৭-২১ থেকে ৩০-৬-২৪ পর্যন্ত) ১০৯৫ দিনের জন্য ১৯ লক্ষ ৩৫ হাজার ৬০০ টাকা। এবার ডাক হয়েছে প্রায় ৬ গুণেরও বেশী মূল্যে। আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকেই টোল আদায়ে দায়িত্বশীলতার সাথে কাজ করে আসছি। অনেক সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারী, সদস্য ও সাধারণ জনগণের সাথে সদাচারের মাধ্যমে টোল আদায়ে কাজ করা হয়ে থাকে। অনেককে ছাড় দিয়েও থাকি। মহামান্য হাইকোর্টের প্রতি আমরা শ্রদ্ধাশীল আছি, পরবর্তী আদেশের অপেক্ষায় আছি, রায় পেলেই যথাযথ ভাবে তা মেনে চলা হবে। তিনি বলেন, আমরা ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার কারনে সকল কাগজপত্রের ফটোকপি স্থানীয় আর্মি ক্যাম্পে জমা দিয়েছি।