রংপুরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের হত্যা চেস্টা মামলা থেকে আওয়ামীলীগ নেত্রীর নাম সরাতে পুলিশের নামে ১০ লাখ টাকা চাঁদাদাবির মামলায় গ্রেফতার ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সহ-সম্পাদক অমিত বণিক এনপিবি পিস্তল ও শর্টগান ব্যবহারে বিশেষ বিবেচনায় লাইসেন্সের আবেদন করেছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে।
অমিত বণিক আওয়ামীলীগ আমলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জন নিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিবের কাছে বিশেষ বিবেচনায় এনপিপি পিস্তল ও শর্টগান আগ্নেয়াস্ত্র লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেন। আবেদনের কপিটি আমার দেশের হাতে এসেছে। তাতে অমিত বণিক নিজেকে প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী হিসেবে দাবি করেন লেখেন, ‘আমি রংপুর, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী জেলায় বহুজাতিক মোবাইল ফোন অপারেটন কোম্পানী, বহুজাতিক মোবাইল সেবা ফাইনান্স সার্ভিস, ঢেউটিন এলপিগ্যাসসহ একাধিক ব্যবসা পরিচালনা করছি। ব্যবসা ছাড়াও রংপুর মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্সের প্রতিষ্ঠাতা ও বর্তমান পরিচালক, বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদকসহ একাধিক ব্যবসায়ি সংগঠনের সাথে সম্মৃক্ত আছি। এছাড়াও সরকারি প্রতিষ্ঠান-বিডার সদস্য, ভোক্তা অধিকার-এর সদস্য, লায়ন্স ক্লাবের পরিচালক, মানবতার বন্ধন ও রংপুর মহানগর কমিউনিটি পুলিশের প্রতিষ্ঠাতা ও সদস্য।’
ওই আবেদনে অমিত বণিক আরও দাবি করেন, ‘আমি ও আমার পরিবার বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ-এর মতাদর্শী। ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে ব্যবসায়িক সফরসঙ্গি এবং কর অঞ্চল-১৬ (বদরগঞ্জ) এর শ্রেষ্ঠ করদাতা হিসেবে দাবি করে এনপিবি পিস্তল ও শর্টগান ব্যবহারের বিশেষ বিবেচনায় লাইসেনন্স আদেশ প্রদান করা হোক। ‘তবে ওই আবেদনের প্রেক্ষিতে কি আদেশ জারি হয়েছে তা জানা যায় নি।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) অমিত বণিককে গ্রেফতার করে মহানগর পুলিশ। তার বিরুদ্ধে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হত্যাচেস্টা মামলার ১৭৯ নম্বর আসামী সংরক্ষিত মহিলা এমপি পদে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন উত্তোলনকারী সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির ঘনিস্ট হিসেবে পরিচিত লিপি খান ভরসাকে মামলা থেকে নাম বাদ দেয়া এবং সুরক্ষার জন্য পুলিশের তৎকালীন উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) মোহাম্মদ শিবলী কায়সারের নামে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবির মামলা করেন পলাশ হাসান নামের এক ব্যক্তি। এসময় বাদি পলাশ হাসানকে থানায় গিয়ে পুলিশ কর্মকর্তা শিবলী কায়সার কর্তৃক মারধোর ও পুলিশের রাইফেল কেড়ে নিয়ে গুলি করতে যাওয়ার অভিযোগে পুলিশ বাদি হয়ে একটি সাধারণ ডায়েরী করে। এরপর পুলিশের সদর দপ্তর থেকে শনিবার (১৫ মার্চ) এক আদেশে উপ-পুলিশ কমিশনার শিবলীকে রংপুর মহানগর থেকে প্রত্যাহার করে সদর দপ্তরে নেয়া হয়। অন্যদিকে রোববার (১৬ মার্চ) ঢাকার গুলশানের একটি ফ্লাট থেকে গ্রেফতার করা হয় লিপি খান ভরসাকে।