নড়াইলের কালিয়ার কাঞ্চনপুর গ্রামের আধিপত্য বিস্তার করাকে কেন্দ্র করে মিলন মোল্যা ও আফতাব মোল্যা পক্ষের মধ্যে সংঘটিত সংঘর্ষের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে উভয়পক্ষের ২০ জনকে গ্রেফতার করেছে সেনাবাহিনী। শুক্রবার (১১ এপ্রিল) রাতে সংঘটিত সংঘর্ষের পরপরই কালিয়া সেনা ক্যাম্পের একটি চৌকস দল অভিযান চালিয়ে দেশীয় অস্ত্রসহ ২০জনকে আটক করে কালিয়া থানায় হস্তান্তর করেছে। কালিয়া থানার ওসি রাশিদুল ইসলাম এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সেনাবাহিনীর হাতে গ্রেফতারকৃতরা হলেন কাঞ্চনপুর গ্রামের হাচিবুর রহমান, মুজাহিদুল, মুন্নু শেখ, মনি মিয়া, আবু জাফর মোল্যা, দিকু শেখ, সিরাজ মোল্যা, নয়ন মোল্যা, জমির মল্লিক, দিদার মোল্যা, আব্দুল মান্নান, মনিরুল ইসলাম, শাহাদাত হোসেন, আতিকুর রহমান, শাহাজান, ইউসুফ, আরবন হোসাই, মোরসালিন, আমিরুল ইসলাম, ও হাসেম মোল্যা।
উল্লেখ্য, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে উপজেলার কাঞ্চনপুর গ্রামের মিলন মোল্যা ও আফতাব মোল্যা পক্ষের মধ্যে দির্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এর জের ধরে শুক্রবার (১১ এপ্রিল) রাতে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে উভয়পক্ষের কমপক্ষে ৩০ জন আহত হন। সংঘর্ষের পরপরই ওইদিন রাতেই সেনাবাহিনী অভিযান চালিয়ে চাইনিজ কুড়াল, রাম দা, হেলমেট ও কয়েকটি মোবাইল ফোনসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্রসহ ২০জনকে আটক করে কালিয়া থানায় হস্তান্তর করে। এদিকে আহতদের মধ্যে আফতাব মোল্যা পক্ষের ফরিদ মোল্যা (৫৭) নামে এক ব্যক্তি খুমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নিহত হন। এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে আফতাব মোল্যা পক্ষের লোকজন প্রতিপক্ষের ঘরবাড়ি ও দোকানপাট ভাঙচুর, মালামাল লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি করেছে বলে জানা গেছে। এ সময় প্রতিপক্ষরা নারী ও শিশুদের মারধর করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে কালিয়া থানার ওসি রাশিদুল ইসলাম জানান, এলাকায় যৌথবাহিনী রয়েছে। ইতোমধ্যে দেশি অস্ত্রসহ ২০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।