ঝিনাইদের কালীগঞ্জে মনোহরপুর গ্রামের পঞ্চম শ্রেনির শিক্ষার্থী আবুজার গিফারী পার্শ্ববর্তী কয়ার বিলে মাছ ধরে ফেরার পথে এক ব্যক্তির কাঁচির আঘাতে শরীরে মারাত্মক ভাবে জখম হয়। গত ৪ এপ্রিল এ ঘটনায় শিক্ষার্থীর চাচা আজিজুর রহমান উজ্জ্বল কালীগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ অভিযোগটি মামলা হিসেবে গ্রহন করে তদন্ত শুরু করে। বাদী ও ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর পরিবার আসামি সনাক্তের ব্যাপারে পুলিশকে কার্যকারী তথ্য প্রদান করতে ব্যর্থ হয়। কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শহিদুল ইসলাম হাওলাদারের নেতৃত্বে একটি দল তদন্ত করে এ ঘটনার মূল আসামিকে মামলা গ্রহনের মাত্র ১০ দিনে সনাক্ত ও আটক করতে সক্ষম হয়। ভুক্তভোগী গিফারী ঢাকা থেকে চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে অবস্থান করার খবর জেনে ওসি নিজে ফলের ঝুড়ি নিয়ে সুস্থতার ব্যাপারে খোঁজখবর নিতে তার বাড়িতে হাজির হন এবং তার শারীরিক অবস্থার খোজ খবর নেন। এ সময় তিনি তার মুঠোফোনে গিফারীকে আসামির ছবি ও ভিডিও দেখালে প্রকৃত অপরাধী সনাক্ত হয়। কালীগঞ্জ উপজেলার মনোহরপুর গ্রামের আনসার আলী বিশ্বাসের ছেলে শাহিন বিশ্বাস (৪২) নামের ব্যক্তিটি সেদিন আবুজার গিফারীকে তার হাতে থাকা কাঁচি দিয়ে কুপিয়ে যখম করেছিল বলে নিশ্চিত করে ভুক্তভোগী নিজেই। পরবর্তীতে ১৪ এপ্রিল বিকালে তাকে আটক করে কালীগঞ্জ থানা পুলিশ কোর্টে প্রেরন করে।
এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শহিদুল ইসলাম হাওলাদার বলেন, পুলিশ জনতার। ক্লু লেস ঘটনাগুলো তদন্ত করে প্রকৃত অপরাধীকে সনাক্ত করতে একটু সময় লাগতে পারে। এজন্য তদন্তের স্বার্থে সকলকেই ধৈর্য ধারণ করতে হবে। আমাদেরকে কাজ করার সময় দিলে অবশ্যই প্রকৃত অপরাধীকে আমরা ধরতে সক্ষম হব। একই সাথে তিনি ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী আবুজার গিফারী দ্রুত সুস্থতাও কামনা করেন।