গাজায় যুদ্ধ বিরতির কথা থাকলেও তা ভঙ্গ করে আবারও অবিরাম হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। প্রতিনিয়ত বাড়ছে হামলার তীব্রতা। দখলদার বাহিনীর নির্বিচার হামলায় গাজায় দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে মৃত্যুর মিছিল। চিকিৎসার অভাবে যন্ত্রণায় কাতরাতে কাতরাতে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছেন আরও শত শত ফিলিস্তিনি।
তথ্য বলছে, ইসরায়েলি বর্বর হামলায় সবচেয়ে বেশি নৃশংসতার শিকার হচ্ছে গাজার নারী ও শিশুরা।
জাতিসংঘ বলছে, গত ১৮ মার্চ যুদ্ধবিরতি ভঙ্গ করার পর থেকে ইসরায়েলি হামলায় প্রতিদিন কমপক্ষে ১০০ শিশু হতাহত হচ্ছে গাজায়। খবর আল জাজিরার।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থীবিষয়ক সংস্থার (ইউএনআরডব্লিউএ) প্রধান ফিলিপ লাজারিনি জানিয়েছেন, পরিস্থিতি ক্রমাগত অবনতির দিকে যাচ্ছে এবং মানবিক সংকট চরমে পৌঁছেছে। হাজার হাজার শিশু হাত-পা হারিয়েছে এবং তারা চরম মানসিক ট্রমার ভেতর দিয়ে দিন কাটাচ্ছে।
এদিকে ইসরায়েলের সাম্প্রতিক হামলায় গাজার আল-আহলি হাসপাতালে আহতদের চিকিৎসা দেওয়ার মতো আর কোনও জায়গা অবশিষ্ট নেই। শুক্রবার (৪ এপ্রিল) ভোর থেকে অন্তত ৩৮ জন ফিলিস্তিনি নিহত ও শতাধিক আহত হওয়ার পর হাসপাতালের পরিচালক এ কথা জানিয়েছেন।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ৮৬ জন নিহত হয়েছেন হাসপাতালটিতে। এছাড়া, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসনের ফলে এখন পর্যন্ত অন্তত ৫০ হাজার ৬০৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১ লাখ ১৫ হাজার ৬৩ জন আহত হয়েছে।