চিরিরবন্দরে শেষ মূর্হুতে জমে উঠছে ঈদের কেনাকাটা

এফএনএস (মোরশেদ-উল-আলম; চিরিরবন্দর, দিনাজপুর) : : | প্রকাশ: ২৯ মার্চ, ২০২৫, ০৭:১৬ পিএম
চিরিরবন্দরে শেষ মূর্হুতে জমে উঠছে ঈদের কেনাকাটা

দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে শেষ মূর্হুতে জমে উঠছে স্থানীয় বিপণি বিতানগুলো। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত মার্কেটগুলোতে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। ঈদের আনন্দকে সঙ্গী করতে প্রতিটি মানুষ পছন্দের জিনিসটি ক্রয় করতে ছুটছেন মার্কেটগুলোর এক দোকান থেকে আরেক দোকানে। কেউ ক্রয় করছেন শাড়ি, কেউ লুঙ্গি, কেউ পাঞ্জাবী, কেউ শিশুদের ড্রেস, কেউ থ্রীপিস আবার কেউবা বাহারি কসমেটিক্স। মানুষের কোলাহলে জমে উঠেছে ঈদ বাজার। গত বছরের মতই এবছরও বেচাকেনা  হবে বলে প্রত্যাশা করছেন ব্যবসায়ীরা। সরজমিন বিভিন্ন বিপণি বিতানে ভিড় দেখা গেছে। তবে ঈদের পোশাকের দাম কিছুটা হলেও বেশি হাকাচ্ছেন বলে ক্রেতাদের অভিযোগ। বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে, বিভিন্ন নামে ও ব্র্যান্ডের তৈরি পোশাক প্রতিটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে সাজিয়ে রাখা হয়েছে। নারী ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন কায়দা অবলম্বন করছেন। ক্রেতাদের আকর্ষণ করতে বিভিন্ন মার্কেটে আলোকসজ্জা করা হয়েছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, ১৫ রমজানের পর থেকে দোকানে ক্রেতাদের ভিড় বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা সারাবছর ঈদকে লক্ষ্য করে বসে থাকি। রাজধানী ঢাকা থেকে ভালো মানের পণ্য ক্রয় করে থাকি। রমজানে টেইলার্সের দোকানগুলোতেও ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তরুণী ও নারীরা আগেই টেইলার্স ও ছিট কাপড়ের দোকানে গিয়ে পছন্দ মতো ড্রেস তৈরি করছেন।

উপজেলার প্রধান বাণিজ্যিক অঞ্চল গ্রামীণ শহর রানীরবন্দরের মুয়াজ মার্কেটের 'মেসার্স সততা বস্ত্রালয়ের' মালিক মো. আব্দুল মতিন বলেন, আশা করছি গত বছরের তুলনায় এবছর বিক্রি ভালো হবে। ক্রেতারা মার্কেটে আসতে শুরু করেছেন। 'চায়না ভাংচুর' পাঞ্জাবি বেশ বিক্রি হচ্ছে। ক্রেতারা এই পাঞ্জাবির প্রতি বেশ আকৃষ্ট হচ্ছেন। পাকিস্তানি পাঞ্জাবির কদর বৃদ্ধি পেয়েছে। দামও হাতের নাগালের মধ্যেই রয়েছে। কাপড়ের মানও ভালো। ডিজাইনের ভিন্নতা থাকায় যুবকরা বেশ আকৃষ্ট হচ্ছেন। পোশাকের দাম আগের তুলনায় বেশি বৃদ্ধি পায়নি।

রহমানিয়া সুপার মার্কেটের 'শান্ত গার্মেন্টসের' মালিক মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, গত বছরের তুলনায় পোশাকের দাম একটু বেশি। তারপরেও ক্রেতারা বিভিন্ন দোকানে ঘুরে যাচাই-বাছাই করে কেনাকাটা করছেন। তিনি বলেন, মনে হচ্ছে গত বছরের মতোই এ বছর বেচাবিক্রি হবে। 

আব্দুল বারী মার্কেটের 'তৌফিক গার্মেন্টস এন্ড বস্ত্রালয়ের' মালিক মো. গোলাম রব্বানী বলেন, এবছর বিভিন্ন নতুন ডিজাইন ও রকমারি নামের ঈদের পোশাক দোকানে উঠানো হয়েছে। নারীদের ঈদের পোশাকে এবার ভারতীয় ও চায়না পোশাকের কদর বৃদ্ধি পেয়েছে। আশা করছি, ভালো বিক্রি হবে। এরই মধ্যে বিক্রি শুরু হয়েছে। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ক্রেতারা মার্কেটে আসছেন। 

আদর্শ বস্ত্র বিতানের মালিক অহিদুল ইসলাম বলেন, এ বছর কাপড়ের নতুন কালেকশন রয়েছে। আশা করছি বিক্রি ভালো হবে। ক্রেতারাও দোকানে ভিড় করছেন। এরই মধ্যে বিক্রি শুরু হয়েছে। পোশাকের দাম আগের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি আরও বলেন, কৃষকেরা তাদের উৎপাদিত পণ্যের দাম না পাওয়ায় বেচাকেনাও অনেকটা কম।

মুয়াজ মার্কেটে আসা নারী ক্রেতা সুলতানা খাতুনসহ কয়েকজন বলেন, গত বছরের চেয়ে দাম একটু বেশি। তারপরেও ঈদ বলে কথা। নতুন পোশাক ক্রয় করতে হবে। ছেলেমেয়েদের জন্য পোশাক ক্রয় করতে এসেছি। ঈদুল ফিতরের দিন যতই এগিয়ে আসবে ততই মার্কেটে ভিড় বৃদ্ধি পাবে। তারা আরও বলেন, এবছর কৃষকেরা উৎপাদিত পণ্যের তেমন দাম পাচ্ছেন না। হাতে তেমন টাকা-পয়সা নেই। পাশাপাশি স্থানীয় ফুটপাতের মার্কেটগুলোও জমতে শুরু করেছে। নিম্নআয়ের লোকজন এসব মার্কেটে প্রতিদিন ভিড় করছেন। এছাড়াও উপজেলার চম্পাতলী, ভূষিরবন্দর, বিন্যাকুড়ি, চিরিরবন্দর, কারেন্টহাট ও আমতলীবাজারে ঈদের বাজার বেশ জমে উঠেছে।

0 LIKE
0 LOVE
0 LOL
0 SAD
0 ANGRY
0 WOW
আপনার জেলার সংবাদ পড়তে