পাংশা পৌরসভার ময়লার ভাগাড়ে দেয়া আগুনের ধোঁয়ায় ঈদের একদিন আগে থেকে পরবর্তী তিনদিন পর্যন্ত কেঁদে যাচ্ছে এলাকাবাসী। পাংশা কলেজমোর বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন পাংশা পৌর বাসস্ট্যান্ডের জন্য অধিগ্রহণকৃত জমি এখন ব্যবহৃত হচ্ছে পৌরসভার ময়লার ভাগার হিসেবে। ময়লার ভাগারের ৫০ হাতের মধ্যেই রয়েছে দোকানপাট এবং আবাসিক বাড়িঘর। ৪/৫ দিন ধরেই ময়লার ভাগাড়ে জ্বলছে আগুন। আগুনের চেয়ে ধোঁয়াই বেশি। ভ্যান রিক্সা এবং পথচারীদের পারাপারের সময় চোখ মুখ বন্ধ রেখে যেতে দেখা যায়। এলাকার বাসিন্দাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ধোঁয়ায় বাড়িঘরে টেকা যাচ্ছে না, চোখ মুখ জ্বলে পুড়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে শিশুদের বাড়িতে রাখা যাচ্ছে না। ধোঁয়ায় শিশুদের চোখ লাল হয়ে যাচ্ছে। রাতে পর্যন্ত ঘরের মধ্যে ধোঁয়া ঢ়ুকে যায়। পাংশা কলেজ মোড়ের কীটনাশক ব্যবসায়ী মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান বলেন, ধোঁয়ায় পুরো কলেজ মোড় আচ্ছন্ন হয়ে যাচ্ছে। দোকানপাটে কাস্টমার সহ আমাদের বসে থাকা এখন দায়। এ বিষয়ে পাংশা পৌরসভার সচিব মোহাম্মদ আনিসুর রহমানকে টেলিফোনে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, 'কেবা কাহারা আগুন লাগিয়ে দিয়েছে ময়লার ভাগাড়ে। অফিসে ঈদের ছুটি চলছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে চেষ্টা করছি, দেখি আগুন নেভানো যায় কিনা।' উল্লেখ্য পাংশা কলেজমোর বাসস্ট্যান্ডে মুক্তিযোদ্ধা ভবন, মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভ, ও মসজিদসহ কুষ্টিয়ার রাজবাড়ী হাইওয়ের দুই পাশেই অনেক দোকানপাট এবং আবাসিক বাড়িঘর রয়েছে।