আশাশুনি উপজেলার বড়দল ইউনিয়নে রবিউল ইসলাম দিং এর ষড়যন্ত্র, অত্যাচার ও মিথ্যাচারে এলাকার মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। ষড়যন্ত্রের শিকার বিএনপি নেতারা জেলা ও কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতৃবৃন্দের কাছে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানিয়েছেন।
বড়দল ইউনিয়ন বিএনপির বিগত স্বৈরশাসকের আমলে বারবার নির্যাতিত ও কারাবরণকারী নেতা পরীক্ষিত সৈনিক আজহারুল ইসলাম মন্টু ও আরিফুল ইসলাম বকুল জানান, ইউনিয়নের হেনু সরদারের ৪০ বছরের মৎস্য ঘের এলাকায় জুয়া কারবারী হিসাবে পরিচিত রবিউল ইসলাম ও আওয়ামীলীগের আঃ জব্বার মধু দিং দখল করে নিলে উপজেলা বিএনপি নেতা খায়রুল আহসান, নুরুল হক ও খালিদুজ্জামান টিপু শালিস করে মিমাংসা করেন। কিন্তু পরবর্তীতে রবিউলরা শালিস অমান্য করে ঘেরে ঘুনি পাতলে জানতে পেনে নেতৃবৃন্দ তার বাড়িতে গিয়েও পাননি। এনিয়ে শত্রুতার জেরধরে স্থানীয় ৩নং ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি নুরুল ইসলামকে একা পেয়ে তাড়া করে নড়েরাবাদ গিয়ে ধরে বেদম মারপিট করে অচেতন অবস্থায় রাস্তায় ফেলে রেখে তারা চলে যায়। এ ঘটনা আমরা কিছুই জানতাম না। এব্যাপারে থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ তদন্ত শেষে এজাহার গ্রহন করেন। প্রতিপক্ষ আমাদেরকে হেয় প্রতিপন্ন করার লক্ষ্যে আমাদের জড়িয়ে থানায় পৃথক মিথ্যা ও কাল্পনিক অভিযোগ করে এবং সোস্যাল মিডিয়া ও পত্রপত্রিকায় অপপ্রচার চালায়। এখানে শেষ নয় উক্ত রবিউল ও আওয়ামীলীগের মধু স্থানীয় ছাত্রলীগের আলামিন, সাবেক চেয়ারম্যান জগদীশের পোষ্য আব্দুল্লাহ, আওয়ামীলীগের আল মাসুদ টিক্কা, যুব দলের শরিকুলদের নিয়ে নানা অপকর্ম করে আসছে বলে তারা দাবী করেন। তারা আরও বলেন, ৫ আগষ্টের পর হতে তারা একাধিক ঘের দখল, জমির ধান কেটে নেওয়া, জাল টেনে মাছ লুট, স্রুইস গেটের খাল দখল করে পানি নিস্কাসনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে হাজার হাজার বিঘা জমির ফসলের ক্ষতি সাধন, জোর করে অন্যের জমি চাষ করা, তরমুজ ক্ষেতের হারি আদায় করে আত্মসাৎ, একবার স্থানীয় ব্যক্তিগত বিএনপি অফিস বানিয়ে মানুষকে জিম্মী করার লক্ষ্যে নিজে অফিস ভাংচুর করে মামলা করা, দ্বিতীয় বার একই ভাবে অফিস ভাংচুরের নাটক করে পূর্বে ভাংচুরকৃত আসবাব দেখিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের ও নিজের ফেসবুক আইডিতে মিথ্যা প্রোপাগান্ডা করা হয়েছে দাবী করে বিএনপি নেতাদ্বয় আক্ষেপ করে জানান, এভাবে অপকর্ম, নিরিহ মানুষদের ক্ষয়ক্ষতি ও হয়রানী করায় বিএনপির ভাবমূর্তি কলংকিত হচ্ছে, সাথে সাথে আগামী নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থীর উপর প্রভাব পড়ছে। তারা এব্যাপারে জেলা ও কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতৃবৃন্দের কাছে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের অনুরোধ জানান। এব্যাপারে অভিযুক্তদের সাথে যোগাযোগ করেও পাওয়া যায়নি।