রংপুর মহানগরীর পূর্ব শালবনের নবীনগরে সরকারী পতিত জমি কবর স্থান ও ঈদগাহ মাঠের জন্য বরাদ্দ পেয়ে শুকরানা নামজ আদায় করেছেন অত্র এলাকার ৯টি মসজিদ কমিটির মুসুল্লি সহ সাধারন জনগন। (১৪ এপ্রিল ) ১লা বৈশাখ সোমবার সকাল ১১টায় বরাদ্দ কৃত জমিতে নামাজ শেষে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
এলাকা বাসী সূত্রে জানাগেছে,মহানগরীর ২৫ নং ওয়ার্ডের পূর্ব শালবন এলাকায় সরকারী পতিত ১ একর ৪৭ শতক জমি রয়েছে। উক্ত জমিতে একটি কবর স্থান ও ঈদগাহ মাঠের জন্য পূর্বশালবন এলাকার প্রায় ৯ টি মসজিদের মুসুল্লীবৃন্দ এবং সাধারন জনগন জেলা প্রশাসক বরাবরে আবেদন করে।
গত ০৯ এপ্রিল এলাকার নারী পুরুষ সহ সর্ব স্তরের জনগন পূর্ব শালবন কেন্দ্রীয় কবর স্থান ও ঈদগাহ মাঠের জন্য জমি বরাদ্দের দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে জেলা প্রশাসক বরাবরেস্মারক লিপিও প্রদান করে। এ সময় জেলা প্রশাসক তাদের আস্বাস দেনআবেদনটি বিবেচনা করবেন। এলাকার একটি প্রভাবশালী মহল এতে বাধ সাধেঁ। তারা বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে জমিটি এক সনা লীজ নিয়ে ভোগ দখল করে আসছিলেন।মহল টি এলাকার ল্যান্ড লর্ড হিসেবে পরিচিত। গত ১৩ এপ্রিল তাদের লীজের মেয়াদ শেষ হয়।তারা লীজ টি পুনুরায় নবায়নের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।
এরই মাঝে এলাকার কয়েক হাজার মানুষ তাদের প্রানের দাবী বাস্তবায়নে ১ বৈশাখ সরকারী জমিটিতে কবর স্থান ও ঈদগাহ মাঠ স্থাপনের জন্য শুকরানা নামাজ আদায় করেন। জমিটি যাতে কেউ জবর দখল করতে না পারে সে জন্য চারদিকে লাল পতাক ও নেট দিয়ে ঘিরে রাখে। সেখানে কয়েক শত বৃক্ষ রোপন করে।
শোকরানা নামাজ পূর্ব এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। কবর স্থান ঈদগাহ মাঠ বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক সাংবাদিক সালেকুজ্জামান সালেকের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ঠ ব্যবসায়ী আলহাজ্ব এমদাদ হোসেন,কমিটির সদস্য সচিব নবী নগর জামে মসজিদের সভাপতি আলহাজ্ব এনামুল হক সরকার,পূর্ব শালবন জামে মসজিদ কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব ফজলুল করিম,হাউজিং জামে মসজিদ কমিটির সাধারন সম্পাদক হুমায়ুন কবির (হুমায়ুন),পূর্ব শালবন জামে মসজিদের সাধারন সম্পাদক মোঃ রফিকুল ইসলাম রফিক,মোজাফ্ফর হোসেন মাদ্রাসার পরিচালক মোঃমানিকুজ্জামান,সাবেক কাউন্সিলর নুরুন্নবী ফুলু,মমিনুল ইসলাম মমিন,আজিজ আল জামান রুহিত,নাহিদ ইসলাম খন্দকার,হারুনার রশিদ প্রমুখ।
এ বিষয়ে এলাকবাসীর সাথে কথা হলে তারা জানান,পূর্ব শালবন এলাকায় প্রায় ৩০ হাজার মানষের বসবাস।এখানে কোন কবর স্থান নাই। ৯ টি মসজিদের ঈদ গাহ নাই। তাই ঈদ সহ জানাজার নামাজ পড়ার জন্য আশপাশের স্কুল গুলোর উপর নির্ভর করতে হয়।সব চেয়ে বিপত্তি দেখা যায় স্কুল চলাকালীন সময়ে জানাজার নামাজ আদায় করতে।এ ছাড়াও স্কুল গুলোর নিজেস্ব অনুষ্ঠান থাকে। সেক্ষেত্রেও তাদের অসুুবিধায় পরতে হয়। তাই একটি কবর স্থান ও ঈদগাহ মাটের দাবী এই এলাকার মানষের দীর্ঘ দিনের। জমি বরাদ্দ পেয়ে তারা খুব খুশী হয়েছেন। তাই মাহান আল্লাহর দরবারে শোকরিয়া জানাতে তারা এই নামাজ আদায় করেন।নামাজ শেষে বর্তমান অর্ন্তবর্তীকালীন সরকার প্রধান সহ সরকার এবং রংপুর জেলা প্রশাসনের জন্যও দোয়া করেন এবং তাদের প্রতি কৃতঞ্জতা প্রকাশ করেন।