স্ত্রীর জান্নাতুল ফেরদৌস লিজার যৌতুকের দাবীতে নির্যাতনের অভিযোগে মামলায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলের চুন্টা ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান গ্রেপ্তার হয়েছেন। লিজা চট্রগ্রামের ডবলমুড়িং থানার মন্নিপাড়া গ্রামের শাহাব উদ্দিনের মেয়ে। শুক্রবার বিকেলে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা মূলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানা পুলিশ জিয়াকে গ্রেপ্তার করে সরাইল থানায় হস্তান্তর করেন। জিয়া বলছেন লিজাকে আমি চিনি না। এটা আমার বিরূদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র। যাচাই বাচাই শেষে সরাইল থানা ওইদিনই জিয়াকে আদালতে প্রেরণ করেছেন।
পুলিশ, বাদী ও স্থানীয় সূত্র জানায়, জিয়াউর রহমান চুন্টা পূর্ব পাড়ার প্রয়াত আব্দুল খালেকের ছেলে। গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। ৫ আগষ্টের পর একটি মামলায় চুন্টা ইউপি চেয়ারম্যান মো. হুমায়ুন কবির গ্রেপ্তার হন। তিনি বেশ কয়েক মাস কারাবরণ করেন। ওই সময়ে জিয়াউর রহমান প্যানেল চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। সম্প্রতি জামিনে আসেন চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির। আইনি জটিলতায় হুমায়ুন কবির চেয়ারম্যান পদ ফিরে পাচ্ছেন না। এ বিষয়ে জিয়াউর রহমান ও হুমায়ুন কবিরের মধ্যে মনোমালিণ্য চলছে। এরই ফাঁকে শুক্রবার তিন কন্যা সন্তানের জনক জিয়াকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তারের পর পুলিশ জানায় জিয়ার বিরূদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা আছে। মামলার বাদী তার স্ত্রী দাবীদার জান্নাতুল ফেরদৌস লিজা। লিজার বাড়ি চট্রগ্রামের ডবলমুরিং থানার মন্নিপাড়া গ্রামে। লিজা জানায়, জিয়াউর রহমান ২০০৭ খ্রিষ্টাব্দের ২ আগষ্ট নিকাহ রেজিষ্ট্রির মাধ্যমে আমাকে বিয়ে করেন। যৌতুক হিসাবে নগদ টাকা দিয়েছি। এখন আবারও যৌতুক দাবী করছেন। যৌতুক দিতে না পারায় আমার উপর নির্যাতন করছেন। তাই গত ১৭ ফেব্রূয়ারি চট্রগ্রাম চীপ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আমি মামলা করেছি। চুন্টার একাধিক ব্যক্তি বলেন, জিয়া ১৭-১৮ বছর আগে মুক্তা বেগম নামের এক নারীকে বিয়ে করেছেন। তাদের তিনটি কন্যা সন্তান রয়েছে। কবে চট্রগামে বিয়ে করেছে আমরা জানি না। কখনো শুনিনি। গ্রেপ্তার হওয়া প্যানেল চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান বলেন, পুরো ঘটনাটিই মিথা বানোয়াট ও সাজানো। আমি বিস্মিত ও হতবাক হয়েছি। আমি লিজা নামের মহিলাকে কখনো চিনি না। আমি গভীর কোন ষড়যন্ত্রের শিকার। সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রফিকুল হাসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আমরা যৌতুকের দাবী বিষয়ক একটি মামলার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা মূলে জিয়াউর রহমানকে গ্রেপ্তার করেছি। এখন ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতে প্রেরণ করব।