সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে বরিশাল জজ কোর্ট চত্বরে দুই সাংবাদিককে পিটিয়ে আহত করে মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সোহেল রাঢ়ীর নেতৃত্বে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে। আহত সাংবাদিক নুরুল আমিন রাসেল জানান, মুলাদীর একটি মামলায় আওয়ামী লীগ নেতা আব্বাসের জামিন শুনানি ছিলো বৃহস্পতিবার। খবরপেয়ে সোহেল রাঢ়ীসহ ছাত্র ও যুবদলের নেতারা ওই আওয়ামী লীগ নেতাকে মারধরের জন্য আদালত চত্বরে যায়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এ খবর পেয়ে দুপুরে সংবাদ সংগ্রহের জন্য স্থানীয় সাংবাদিক মনিরুল ইসলাম ও তিনি (রাসেল) আদালতের প্রধান গেটের সামনে গিয়ে অবস্থান নেন। একপর্যায়ে আব্বাস হোসেনের ওপর হামলার প্রস্তুতিকালে তারা দুই সাংবাদিক ক্যামেরা বের করার সাথে সাথেই ছাত্রদল নেতা ও তার সহযোগিরা অর্তকিতভাবে দুই সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালায়। তারা ক্যামেরা ভাঙচুরের পর দুই সাংবাদিককে মারধর করে। একপর্যায়ে সাংবাদিক রাসেলের ব্যবহৃত মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেয়া হয়।
বরিশাল সাংবাদিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক শাহিন হাসান বলেন, খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক একদল সংবাদকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে সাংবাদিকদের ওপর হামলাকারী ও ক্যামেরা ভাঙচুরের পর মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। পরে সেনাবাহিনী এবং পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারপূর্বক শাস্তির আশ্বাস দেওয়ার পর সড়ক অবরোধ প্রত্যাহার করা হয়।
এ বিষয়ে জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক অভিযুক্ত সোহেল রাঢ়ী মোবাইল ফোনে জানিয়েছেন, সাংবাদিক এন আমিন রাসেল মুলাদীর আওয়ামী লীগ নেতা আব্বাসের লোক। মারধর বা মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগের বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না বলে উল্লেখ করেন।
কোতয়ালি মডেল থানার ওসি মিজানুর রহমান জানান, পুড়ে যাওয়া মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করা হয়েছে। পাশাপাশি অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চলছে। অপরদিকে মহানগর ও জেলা বিএনপির দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দরা জানিয়েছেন, সাংবাদিকদের ওপর হামলা ও প্রকাশ্যে মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় যারাই জড়িত থাকুক না কেন বিএনপির এর কোন দ্বায়ভার নিবেনা। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।