সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপিকে সিন্ডিকেট মুক্ত করে শক্তিশালী ও ঐক্যবদ্ধ করার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে বিএনপির এক অংশ। শনিবার সকালে শহরের শহীদ মুক্তিযোদ্ধ জগৎজ্যোতি পাবলিক লাইব্রেরীতে এ সংবাদ সম্মেলনরে আয়োজন করে বিএনপি জেলার ত্যাগী-নির্যাতিত তৃণমূল নেতৃবৃন্দ।
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা বিএনপির আহ্ববায়ক পদে মনোনয়ন ক্রয়করে পদবঞ্চিত আসম খালিদ স্বাক্ষরিত লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, নবগঠিত সুনামগঞ্জ পৌর বিএনপির ২য় আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ আল-নোমান। সংবাদ সম্মেলনে তারা দলের পদবী দেওয়ার আশ্বাসে অর্থ লেনদেন এবং মনোনয়ন বিক্রীর টাকা অস্বচ্ছতা রয়েছে। মনোনয়ন বিক্রীর টাকার হিসাব চায় মনোনয়ন ক্রয়কারী ও তৃণমূলের নেতারা।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তারা বলেন, সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপি কলিম উদ্দিন মিলনের ইচ্ছার উপর পরিচালিত হচ্ছে। উনার যাকে মন চায় পদ দেন যাকে মন চায় বাদ দেন। অনুমোদিত কমিটিতে এখন চলছে ঘসামাজার কাজ। দিরাই উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক পদে এবং সদস্য ডদে দুই ভাইয়েল নাম আসলে সমালোচনার ঝড়উঠে। এখন এক ভাইয়ের নাম কেটে সেখানে তার স্ত্রীর নাম লিখে প্রচার করা হচ্ছে।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আধুনিক বাংলাদেশের স্থপতি শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে স্মরন করছি। সুস্থতা কামনা করছি দেশের সাবেক তিনবারের সফল প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার। শ্রদ্ধা জানাই স্বৈরশাসন মুক্তের কারিগর আগামীর রাষ্ট্রনায়ক তারেক রহমানের নেত্রীত্বের।
আপনরা জানেন ছাত্র জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে বাংলাদেশ হাসিনা মুক্ত হলেও মুক্ত হয়নি সুনামগঞ্জের বিএনপি। বিগত আন্দোলন সংগ্রামে ৪০০ গজের আন্দোলন করা কমিটি ছিল সম্পূর্ণ ব্যর্থ। দীর্ঘ ৭ বছর ব্যর্থ এই সিন্ডিকেট কমিটি দলের প্রতিটি কর্মকান্ড ছিল দলের ভিতরে বিভক্তি ও বিভাজনের। এই ধারাবাহিকতায় গত বছরের ৪ নভেম্বর সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপি'র নেতা কর্মীদের বোকা বানিয়ে কেন্দ্রীয় নেত্রীবৃন্দের ভুল তথ্যের মাধ্যমে ৩২ সদস্যের জেলা কমিটি গঠন করেন। তাদের সিন্ডিকেট কমিটি বাতিলক্রমে পূনঃগঠনে জেলার ত্যাগী নেতারা কেন্দ্রীয় নেত্রীবৃন্দের কাছে আবেদন জানান পরবর্তীতে সিলেট বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক জি.কে গৌস মিলেমিশে কাজ করার পরামর্শ দেন এবং সবার সাথে আলোচনা ও দলের ত্যাগী ও নির্যাতিত নেতাদের দ্বারা ইউনিট কমিটি গঠন করার আশ্বাস দেন। উনি তার আশ্বাস বাস্তবায়ন ও নিরপেক্ষতার আচরণ প্রমাণে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছেন। প্রতিটি ইউনিট কমিটি তিনি নিজে থেকেই সিন্ডিকেট অনূকূলে ঘোষনা দেন।
আমরা আজকের সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সকল ইউনিট কমিটি প্রত্যাহারের দাবী জানাই এবং কেন্দ্রীয় নেত্রীবৃন্দের হস্থক্ষেপ কামনা করি। সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা ও পৌর কমিটির কার্যক্রম স্থগিত করে কমিটি পূর্নগঠনের দাবী জানাই। সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা ও পৌর বিএনপি'র কমিটি কার্যক্রম বন্ধ না রাখলে বিকল্প কমিটি গঠনে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
তারা অভিযোগ করেন, চিহ্নিত আওয়ামী কর্মকান্ডে জড়িত ও সুবিধাভোগীদের কমিটিতে স্থান দেওয়া হয়েছে। উপজেলা কমিটিতে জেলা বিএনপি'র সদস্যদের রেখে দলকে ও নেত্রীত্বকে সংর্কীন করা হয়েছে। এক নেতার এক পদ সেখানে মানা হচ্ছে না। সুনামগঞ্জ পৌর বিএনপির কমিটির ২১ সদস্যের ৬ জনই জেলা বিএনপি'র সদস্য। যা দলকে লিমিটেড কোম্পানীতে রূপান্তর করার চেষ্টা করা হচ্ছে। পৌর বিএনপির আহবায়ক ও ১ম যুগ্ম আহবায়ক একে অপরের প্রতিবেশী এবং ব্যর্থ জেলা আহবায়কের অনুসারী।
পৌর বিএনপির ১০নং সদস্য পরীক্ষিত দলছুট নেতা। বিগত দিনে তিনি আওয়ামী কর্মকান্ডে জড়িত ও আওয়ামী সুবিধা ভোগী, জেলা বিএনপি সহ সকল ইউনিট কমিটি থেকে তাদের বহিস্কার জরুরী।
দলের প্রতি দায়িত্বশীলদের এহেন আচরণে সাড়া জেলায় দলের কাঠামো ভেঙ্গে পড়ছে। দলকে পরিনত করা হয়েছে সিন্ডিকেট ও লিমিটেড কোম্পানীতে। তাদেরকে দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার না করনে আগামী দিনে সাড়া জেলার বিএনপি'র রাজনীতি নষ্ট হবে। তাই সকল ইউনিট সহ জেলা কমিটি স্থগিতের আহবান জানান তারা।
তারা বলেন, কলিম উদ্দিন মিলন জেলা বিএনপির একজন ব্যর্থ সভাপতি জেলা বিএনপির আহ্বায়ক নাছির উদ্দিন চৌধুরী সম্মলেন করে জেলার অধিকাংশ উপজেলায় কমিটি দেন কিন্তু কলিম উদ্দিন আহমদ মিলনের নর্িাচনী এলাকা ছাতক-দোয়ারাবাজারে সম্মেলন করদে দেওয়া হয়নি। মিলন সাত বছর সভাপতি থাকলে ছাতক দোয়ারায় সম্মেলন করতে পারেননি এমনকি সকল উপজেলা কমিটির মেয়াদ শেষ হলেও তিনি একটি উপজেলায়ও সম্মেলন করতে পারেন নি তাকে কিভাবে আবার আহ্বায়খ করা হলো তা আমরা জানি না।এসময় বিভিন্ন ইউনিটের ত্যাগী ও নর্িাতিত নেতারা উপস্থিত ছিলেন।