মুক্তিযোদ্ধা না হয়েও যারা প্রতারণামূলকভাবে মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন এমন ১২ জন স্বেচ্ছায় তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার আবেদন করেছেন। তারা দোষ স্বীকার করে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে এ আবেদন করেন। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম (বীর প্রতীক) এ তথ্য জানিয়েছেন। বিভিন্ন জেলা থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের বিষয়ে শত শত অভিযোগ এসেছে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘জামুকা (জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল) আইন সংশোধন করে নতুন অধ্যাদেশ হয়ে গেলে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ পুনর্গঠন করতে পারবো। সেখানে আমরা একটা অ্যাডহক কমিটি করে দেবো। এরপর জামুকা, অ্যাডহক কমিটি, প্রশাসন যৌথভাবে যে অভিযোগগুলো এসেছে, সেগুলো যাচাই-বাছাই করবে।’ তিনি বলেন, ‘আমরা আগে বলেছিলাম যেসব অমুক্তিযোদ্ধা স্বেচ্ছায় মুক্তিযোদ্ধার তালিকা থেকে চলে যাবেন তাদের ইনডেমনিটি (দায়মুক্তি) দেবো, তাদের শাস্তির আওতায় আনবো না। সেই সুবাদে ১২ জনের মতো পেয়েছি, যারা স্বেচ্ছায় চলে যেতে আবেদন করেছেন। তারা জাতি ও মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন যে, তারা এটা অন্যায় করেছিলেন। তাদের যাতে তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়। চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে আমরা তাদের ভাতা বন্ধ করে দিয়েছি।’ মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ইসরাত চৌধুরী বলেন, ‘যারা ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা আছেন, তারা স্বেচ্ছায় চলে গেলে ভালো- সেই ঘোষণা আমরা দিয়েছি। কিছু লোক ক্ষমা চেয়ে আবেদনও করেছেন। তবে খুব বেশি নয়। আর না গেলে যাচাই-বাছাইয়ে ধরা পড়লে তাদের শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে।’ বিভিন্ন সময়ে বিশেষ করে গত আওয়ামী লীগ সরকারের তিন মেয়াদে বিপুল সংখ্যক ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাকে তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বীর মুক্তিযোদ্ধারা মনে করেন, বর্তমান তালিকায় থাকা মুক্তিযোদ্ধাদের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশই ভুয়া।