সড়ক দূর্ঘটনায় সরাইলের স্কুল ছাত্রীর মৃত্যু

এফএনএস (মাহবুব খান বাবুল; সরাইল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া) : : | প্রকাশ: ১৫ মার্চ, ২০২৫, ০১:৪১ পিএম
সড়ক দূর্ঘটনায় সরাইলের স্কুল ছাত্রীর মৃত্যু

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মহাসড়কে চলাচলকারী অনুমোদন বিহীন বেপরোয়া গতির ট্রাক্টর কেড়ে নিল সরাইলের স্কুলছাত্রী মিতুর (১০) প্রাণ। মিতু সরাইল উপজেলা সদরের ‘সরাইল একাডেমি’ নামক প্রতিষ্ঠানে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী। গত শুক্রবার বিকেলে কুমিল্লা-সিলেট মহসড়কের নন্দনপুর এলাকায় এই দূর্ঘটনাটি ঘটে। স্থানীয়রা উদ্ধার করে মিতুকে জেলা সদর হাসপাতালে নেয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। হাইওয়ে থানার পুলিশ ঘাতক ট্রাকটি আটক করলেও পালিয়ে গেছে চালক ও পুলিশ। কিশোরী মিতুর আকস্মিক নির্মম মৃত্যুতে পরিবারে চলছে শোকের মাতম। 

পুলিশ, নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মিতু সরাইল সদরের কাচারি পাড়ার মজনু মিয়া মেয়ে। গত মঙ্গলবার পিতা মজনু মিয়া মাতা জহুরা বেগমের সাথে সদর উপজেলার অষ্টগ্রামে খালার বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিল মিতু। পিতা মাতা সরাইলে চলে আসলেও মিতু সেখানে থেকে গিয়েছিল। মিতু গত শুক্রবার বিকেলের দিকে খালাত ভাইকে নিয়ে ব্যাটারি চালিত অটোরিকশায় করে রওনা দেয়। কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের নন্দনপুর এলাকায় আসার পর সরাইলের বিশ্বরোডগামী একটি বেপরোয়া গতির ট্রাক্টর মিতুকে বহনকারী অটোরিকশাটিকে পেছনের দিকে থেকে চাপা দেয়। ছিটকে সড়কে পড়ে যায় মিতু। মিতুর শরীরের উপর দিয়ে চলে যায় ট্রাক্টরটি। স্থানীয় লোকজন আশঙ্কাজনক অবস্থায় মিতুকে উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে নেয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার পুলিশ ঘাতক ট্রাক্টরটিকে আটক করলেও পালিয়ে গেছে চালক ও হেলপার। তিন সন্তানের মধ্যে একমাত্র কন্যা সন্তানের আকস্মিক নির্মম মৃত্যুর খবরে সঙ্ঘা হারিয়ে ফেলেন মা বাবা। পরিবার তথা গোটা গ্রামে চলছে শোকের মাতম। দূর্ঘটনাস্থলে গেলে একাধিক ব্যক্তি অভিযোগ করে বলেন, মহাসড়কে চলাচলের অনুমতি না থাকলেও এই ট্রাক্টর গুলো কীভাবে বেপরোয়া গতিতে দাবরিয়ে চলে আমরা বুঝি না। এই গুলো তো হাল চাষের জন্য। মহাসড়কে চলাচলের জন্য নয়। শুনেছি বিশেষ ব্যবস্থায় এই গুলো সড়ক মহাসড়কে চলছে। ট্রাক্টর গুলোর বৈধ কাগজপত্র আছে কিনা জানি না। তবে অধিকাংশ চালকের লাইসেন্স নেই। বয়সেও এরা (চালকরা) শিশু ও কিশোর।  খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মাহবুবুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আমরা ঘাতক ট্রাকটি আটক করেছি। নিহতের স্বজনরা কোন অভিযোগ করেননি। ময়নাতদন্ত ছাড়াই তারা লাশ দাফন করেছেন। তবে আমরা (হাইওয়ে পুলিশ) একটি মামলা করছি।

0 LIKE
0 LOVE
0 LOL
0 SAD
0 ANGRY
0 WOW
আপনার জেলার সংবাদ পড়তে