কবর থেকে দুই শহীদের মরদেহ উত্তোলন

এফএনএস (বরিশাল প্রতিবেদক): : | প্রকাশ: ১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০২:২১ এএম : | আপডেট: ৫ জানুয়ারী, ২০২৫, ১২:৩৫ পিএম
কবর থেকে দুই শহীদের মরদেহ উত্তোলন

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে নিহত দুই শহীদ পরিবারকে রাষ্ট্রীয়ভাবে কোনোধনের সহায়তা করা হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন ওই দুই শহীদ পরিবারের সদস্যরা। ঘটনার চার মাস অতিবাহিত হলেও কেউ তাদের খোঁজ পর্যন্ত নেয়নি। এমনকি ছাত্র জনতার আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহতের পর ধারদেনা করে অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করে মরদেহ বাড়িতে আনা হয়েছিল। অদ্যবর্ধি সেই টাকাও পরিশোধ করতে পারেননি পরিবার। দুই শহীদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে উত্তোলনের পর বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে নিয়ে আসা হয়েছে। সেখানে রবিবার সকালে এসব তথ্য জানিয়েছেন ওই দুই পরিবারের সদস্যরা। দুই শহীদ হলেন-জেলার বানারীপাড়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের জম্বোদ্বীপ গ্রামের বাসিন্দা মোশারফ হোসেনের ছেলে গার্মেন্টস কর্মী শহীদ রাকিব বেপারী (২১) ও হিজলা উপজেলার বড়জালিয়া ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের বাসিন্দা মো. হাসানের ছেলে শাহীন (২৫)। শহীদ রাকিবের চাচা নুরুল হক বেপারী বলেন, গত ২১ জুলাই ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় গার্মেন্টস কর্মী রাকিব পুলিশের গুলিতে নিহত হয়। রাকিব যখন মারা যায় তখন আমাদের হাতে কোনো টাকা ছিলোনা। একপর্যায়ে বিভিন্নজনের কাছ থেকে ধারদেনা করে অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করে মরদেহ বাড়িতে এনে দাফন করা হয়েছে। সেই টাকাও এখন পর্যন্ত পরিশোধ করতে পারেনি রাকিবের পরিবার। কারণ রাকিব ছিলো ওই পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। রাকিবের মৃত্যুর পর পুরো পরিবারটি নিঃস্ব হয়ে গেছে। সূত্রমতে, কবর থেকে মরদেহ উদ্ধারের সময় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নারায়ণগঞ্জ সিআইডির ইন্সপেক্টর মো. জয়নাল আবেদীন স্থানীয় সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, গার্মেন্টস কর্মী রাকিব বেপারী জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানে নিহত হয়েছেন কিনা তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য কবর থেকে তার মরদেহ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। হিজলা উপজেলার বড়জালিয়া ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের মো. হাসান বলেন, আমার ছেলে নারায়ণগঞ্জের চিটাগাং রোডে পুলিশের গুলিতে নিহত হয়। সেখান থেকে বাড়িতে এনে শাহীনের মরদেহ দাফন করেছি। আর্থিক সহায়তাতো দূরের কথা এখন পর্যন্ত কেউ আমাদের খোঁজও নেয়নি। তিনি আরও বলেন, শাহীন আমার বড় ছেলে। ওর মৃত্যুর পর আমরা শেষ হয়ে গেছি। নারায়ণগঞ্জে আমরা মামলা করেছি। সেই মামলার তদন্ত করতে গত ২৮ নভেম্বর সিআইডি কবর থেকে আমার ছেলের মরদেহ উত্তোলন করে নিয়ে এসেছে।  এ ব্যাপারে হিজলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, শহীদ শাহীনের নাম জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনের অর্থ সহায়তার তালিকাভূক্ত ছিল। কিন্তু তারা কেন সহায়তা পেলেন না, তা বুঝতে পারছি না। তারা যেন দ্রুত সময়ের মধ্যে সহায়তা পান সেজন্য আমি চেষ্টা করছি।

0 LIKE
0 LOVE
0 LOL
0 SAD
0 ANGRY
0 WOW
আপনার জেলার সংবাদ পড়তে