সিঙ্গাপুরে মতলব উত্তরের তরুণের মৃত্যু, লাশের অপেক্ষায় পরিবার

এফএনএস (মিজানুর রহমান; চাঁদপুর) : : | প্রকাশ: ২৮ জানুয়ারী, ২০২৫, ০৩:৩৫ পিএম : | আপডেট: ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫, ০৫:০৪ পিএম
সিঙ্গাপুরে মতলব উত্তরের তরুণের মৃত্যু, লাশের অপেক্ষায় পরিবার

সিঙ্গাপুরে নির্মাণশ্রমিকের কাজ করতে গিয়ে গভীর গর্তে পড়ে বাংলাদেশি এক তরুণের মৃত্যু হয়েছে। আজ রোববার সকালে সেখানকার এশিয়া পাইলিং কোম্পানির রাফেলস প্লেস নামক স্থানে ওই দুর্ঘটনা ঘটে। ২৬ জানুয়ারি দুপুরে ওই তরুণের মৃত্যুর খবর তাঁর পরিবারকে জানানো হয়।

ওই তরুণের নাম রাজু আহম্মেদ মীর (২৮)। তাঁর বাড়ি চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার চরপুটিয়া গ্রামে। ওই গ্রামের বাবর আলী মীর ও পেয়ারা বেগম দম্পতির মেজ ছেলে তিনি। তিন ভাই ও দুই বোনের মধ্যে রাজু দ্বিতীয়। ৪ বছর আগে তিনি সিঙ্গাপুরে যান।

পরিবার ও স্থানীয় সূত্র জানায়, চার বছর আগে প্রায় ৭ লাখ টাকা ঋণ করে রাজু আহম্মেদ মীর সিঙ্গাপুরে যান। এশিয়া পাইলিং কোম্পানি নামে সেখানকার একটি নির্মাণ প্রতিষ্ঠানে শ্রমিকের কাজ নেন। তিন বছর কাজ করার পর গত বছর কিছুদিনের জন্য ছুটি নিয়ে দেশে এসে ফিরে যান। বাংলাদেশ সময় ২৬ জানুয়ারি সকালে ওই কোম্পানির রাফেলস প্লেস নামক স্থানে কোম্পানিটির একটি ভবন নির্মাণে কাজ করছিলেন তিনি। হঠাৎ ভবনের পাশে একটি কংক্রিটের গভীর গর্তে তিনি পড়ে যান। ওই গর্তেই মারা যান। সেখানকার ফায়ার সার্ভিস বিভাগের কর্মীরা এসে সেখান থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করেন। দুপুরের পর ওই কোম্পানির ব্যবস্থাপক ও নিহত রাজুর এক বন্ধু মুঠোফোনে বিষয়টি তাঁর পরিবারকে জানান।

রাজু আহম্মেদের বড় ভাই সুমন মীর বলেন, তাঁদের আর্থিক অবস্থা ভালো নয়। অনেক কষ্ট করে প্রায় সাত লাখ টাকা ধার করে তাঁর ভাইকে সিঙ্গাপুরে পাঠিয়েছিলেন। তাঁর পাঠানো টাকায় কিছু ঋণ পরিশোধ করেছিলেন। এখনো কিছু ঋণের টাকা বকেয়া। বছরখানেক আগে কোম্পানি থেকে ছুটি নিয়ে কিছুদিনের জন্য বাড়ি এসেছিলেন। আবার সিঙ্গাপুরে যাওয়ার সময় বলেছিলেন, ঋণের টাকা পরিশোধ হলে দেশে এসে বিয়ে করবেন। তাঁর পাঠানো টাকায় সংসারের খরচ মিটত। পরিবার নিয়ে তাঁর অনেক স্বপ্ন ছিল। এখন সব শেষ।

সুমন মীর বলেন, বিষয়টি সেখানকার বাংলাদেশ দূতাবাসে জানানো হয়েছে। ওই দূতাবাস বাংলাদেশের সিঙ্গাপুর দূতাবাসে যোগাযোগ রাখছে। তাঁর ভাইয়ের লাশের অপেক্ষায় সবাই প্রহর গুনছেন। শেষবারের মতো ভাইয়ের লাশ দেখতে পেলে কিছুটা হলেও স্বস্তি পাবেন।

মতলব উত্তর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রবিউল হক বলেন, ঘটনাটি শুনেছেন। ওই পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। এ ব্যাপারে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।

0 LIKE
0 LOVE
0 LOL
0 SAD
0 ANGRY
0 WOW
আপনার জেলার সংবাদ পড়তে