আমতলীতে জমজমাট ঈদ বাজার। শিশু, নারী-পুরুষের পদচারনায় সরগরম বিপণি বিতানগুলো। কদর বেশী ইন্ডিয়ান-পাকিস্তানী পোষাকের। ক্রেতারা তাদের পছন্দ মত জামা-জুতা পোশাক-প্রসাধনী ইত্যাদি ঈদপন্য কিনে নিচ্ছেন। তবে গত বছরের তুলনায় এ বছর বিক্রি কম।
জানাগেছে, পবিত্র ঈদ-উল ফিতরের আর মাত্র ৬ দিন বাকী। ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে মানুষ ততই বাজারমুখী হচ্ছে। সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত চলছে বেচাকেনা। ঈদ বাজারে ইন্ডিয়ান ও পাকিস্তানী পোশাকের চাহিদা বেশী। এছাড়া পোশাক তৈরিতে ব্যস্ত টেইলার্স কারিগড়রা। রাত জেগে কাজ করছেন তারা। গত বছরের চেয়ে এ বছর পোশাক তৈরি কম বলে দাবী করেন টেইলার্স মোঃ জাফর মিয়া। গত বছরের তুলনায় এ বছর ঈদ বাজারে বিক্রি কম বলে জানান আকন বস্ত্রালয়ের মালিক কামাল আকন।
ক্রেতা রাশিমুল হক রিমন বলেন এ বছর পোশাকের ধরন বদলে গেছে এবং দামও একটু বেশী। পাকিস্তানী পাঞ্জাবী ক্রয় করেছি।
নারী ক্রেতা নাসিমা বলেন, পাকিস্তানী ও ভারতীয় পোশাকই পছন্দ। তাই পাকিস্তানী থ্রিপিচ ক্রয় করেছি।
ক্রেতা মরিয়ম বলেন, পোশাকের দাম একটু বেশী হলেও চাহিদামত মালামাল পাওয়া যায়।
মঙ্গলবার আমতলী পৌর শহরের সুলভ বস্ত্রালয়, নিউ মাতৃছোয়া বস্ত্রালয়, আকন বস্ত্রালয়, মদনমোহন বস্ত্রালয়, সিরাজ উদ্দিন বস্ত্রালয়,ইসলামিয়া বস্ত্রালয় ও মাসফি চয়েজ হাউস ঘুরে দেখা ক্রেতাদের উপচে পড়া ভীর। নারী ও পুরুষরা মিলে পছন্দের পোশাক ক্রয় করছেন। এ সকল বিপণি বিতানগুলোতে পাকিস্তানী ও ভারতীয় পোশাক বেশী বিক্রি হচ্ছে।
আমতলী থানার ওসি মোঃ আরিফুর রহমান আরিফ বলেন, ঈদকে সামনে রেখে বাজারে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোড়দার করা হয়েছে। গভীর রাত পর্যন্ত কেনাকাটা করে মানুষের বাড়ী ফিরে যেতে যেন সমস্যা না হয়।